পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭অ
বাঙ্গালার ইতিহাস
১১৭

অসভ্য পুলিন্দ জাতিরাও সভ্যজাতির ন্যায় শান্তস্বভাব হইল।

 আবাদ না থাকাতে, ঐ দেশের জল বায়ু অত্যন্ত পীড়াকর ছিল; তাহাতে ক্লীবলণ্ড সাহেব, শারীরিক অত্যন্ত অসুস্থ হইয়া, স্বাস্থ্যলাভ প্রত্যাশায় সমুদ্র যাত্রা করেন। তথায় তাঁহার মৃত্যু হইল। মৃত্যুকালে তাঁহার উনত্রিশ বৎসর মাত্র বয়ঃক্রম ছিল। ডিরেক্টরেরা তাঁহার সদ্গুণে এমত প্রীত ছিলেন, যে তাঁহার স্মরণার্থে এক সমাধিস্তম্ভ নির্ম্মাণের আদেশ করেন। তিনি যে অকিঞ্চন পার্ব্বতীয়দিগকে সভ্য করিয়াছিলেন, তাহারাও অনুমতি লইয়া, তদীয় গুণগ্রামের চিরস্মরণীয়তা সম্পাদনার্থে, এক কীর্ত্তিস্তম্ভ নির্ম্মাণ করে। এতদ্দেশীয় লোকেরা, ইহার পূর্ব্বে, আর কখন কোন ইউরোপীয়ের স্মরণার্থে কীর্ত্তিস্তম্ভ নির্মাণ করেন নাই।

 ১৭৮৩ সালে, সর উইলিয়ম জোন স সুপ্রীমকোর্টের জজ হইয়া এতদ্দেশে আগমন করেন। তিনি বিদ্যানুশীলন দ্বারা স্বদেশে অত্যন্ত খ্যাতি লাভ করিয়াছিলেন। তাঁহার ভারতবর্ষে আসিবার মুখ্য অভিপ্রায় এই যে, তিনি এতদ্দেশের আচার, ব্যবহার, পুরাবৃত্ত ও ধর্ম্ম বিষয়ে বিশেষ রূপ অনুসন্ধান করিতে পারিবেন। তিনি এই দেশে আসিয়াই সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিতে আরম্ভ করিলেন। কিন্তু পণ্ডিত পাওয়া অত্যন্ত দুর্ঘট হইয়া উঠিল। যেহেতু, তৎকালীন ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা ম্লেচ্ছ জাতিকে পরম পবিত্র সংস্কৃত ভাষা ও শাস্ত্রীয় উপদেশ দিতে সম্মত হইতেন না। অনেক অনুসন্ধানের