আশ্রয় লইয়াছিল, যে তন্মধ্যে যাহা আহারসামগ্রী ছিল, তাহাতে এক সপ্তাহও চলিতে পারিত না। অতএব নির্ধারিত হইল, গড়ের নিকট যে সকল নৌকা প্রস্তুত আছে, পর দিন প্রত্যুষে নগর পরিত্যাগ করিয়া তদ্দ্বারা পলায়ন করাই শ্রেয়। কিন্তু দুর্গমধ্যে এক ব্যক্তিও এমত ক্ষমতাপন্ন ছিল না যে এই ব্যাপার সুশৃঙ্খলরূপে নিৰ্বাহ করিয়া উঠে। সকলেই আজ্ঞা প্রদানে উদ্যত, কেহই আজ্ঞা প্রতিপালনে সম্মত নহে।
নিরূপিত সময়ে প্রথমতঃ স্ত্রীলোকদিগকে প্রেরণ করা গেল। অনন্তর দুর্গস্থিত সমুদায় লোক ও নাবিকগণ ভয়ে অত্যন্ত অভিভূত হইল। সকল ব্যক্তিই তীরাভিমুখে ধাবমান। নাবিকেরা নৌকা লইয়া পলাইতে উদ্যত। ফলতঃ সকলেই আপন লইয়া ব্যস্ত। যে যে নৌকা সম্মুখে পাইল তাহাতেই আরোহণ করিল। সাধ্যক্ষ ড্রেক সাহেব ও সৈন্যাধ্যক্ষ বাহাদুর সর্বাগ্রে পলায়ন করিলেন। এবং বে কয়েকখান নৌকা উপস্থিত ছিল, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে, কতক জাহাজের নিকটে, ও কতক হাবড়া পারে, চলিয়া গেল; কিন্তু সৈন্য ও ভদ্রলোক অর্ধেকেরও অধিক দুৰ্গমধ্যে রহিয়া গেল।
সাধ্যক্ষ সাহেবের পলায়ন সংবাদ প্রচার হইবা মাত্র, অবশিষ্ট ব্যক্তিরা একত্র হইয়া হালওয়েল সাহেবকে আপনাদিগের অধ্যক্ষ স্থির করিল। পলায়িতেরা,জাহাজে আরোহণ করিয়া, প্রায় এক ক্রোশ ভাটিয়া গিয়া, নদীতে নঙ্গর করিয়া রহিল। ১৯ জুন,বিপক্ষে পুনৰ্বার আক্রমণ করে; কিন্তু পরিশেষে অপসারিত হয়।