পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪০
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৯অ

বিরোধ উপস্থিত হয়। তিনি, আপন ভ্রাতা মাধু সিংহের সহিত পরামর্শ করিয়া, নিজ পিতৃব্যপুত্ত্র অপ্রাপ্তব্যবহার বলবন্ত সিংহের হস্ত হইতে রাজ্যাধিকার গ্রহণ করিৰার উদ্যম করিয়াছিলেন। সর চার্লস মেটকাফ সাহেৰ দুর্জ্জনশালকে বুঝাইবার জন্য বিস্তর চেষ্টা পাইলেন; কিন্তু কোন ফলোদয় হইল না। তখন স্পষ্ট বোধ হইল, অস্ত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে এ বিষয়ের মীমাংসা হইবেক না। বিশেষতঃ, এই স্থান অধিকার করা ইঙ্গরেজের অত্যন্ত আবশ্যক বিবেচনা করিয়াছিলেন। ১৮০৫ খৃঃ অব্দে, ইঙ্গরেজদিগের সেনাপতি লার্ড লেক ঐ স্থান রোধ করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাতে অধিক সেনা ও সেনাপতির প্রাণ ৰিনাশ হয়। ফলতঃ, ইঙ্গরেজেরা ভারতবর্ষে যত নগর অবরোধ করিয়াছিলেন কুত্রাপিও এমত বিভ্রাট ঘটে নাই। ইঙ্গরেজের এপর্য্যন্ত যত দুর্গ অবরোধ করেন, তন্মধ্যে কেবল ভরতপুরের দুর্গই অধিকার করিতে পারেন নাই। ইহাতে সমুদায় ভারতবর্ষ মধ্যে এই জনরব হইয়াছিল, ইঙ্গরেজেরা এই দুর্গ কখনই অধিকার করিতে পারিবেন না। উহার চতুর্দ্দিকে অতি প্রশস্ত এক মৃন্ময় প্রাচীর এবং ঐ প্রাচীরের গোড়ায় এক বৃহৎ পরিখা ছিল।

 তৎকালে অনেক সৈন্য ব্রহ্মদেশীয় যুদ্ধে ব্যাপৃত থাকিলেও, বিংশতি সহস্র সৈন্য-ও এক শত কামান ভরতপুরের সম্মুখে অবিলম্বে সংগৃহীত হইল। ভারতবর্ষীয় সমুদায় লোক প্রগাঢ় ঔৎসুক্য সহকারে এই ব্যাপার নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। ২৩এ ডিসেম্বর যুদ্ধারম্ভ হইল।