দুর্গবাসিরা দুই দিবস পর্যন্ত আপনাদিগের রক্ষা করিয়াছিল, এবং জাহাজস্থিত লোকদিগকে নিরন্তর সঙ্কেত করিয়াছিল যে তোমরা আসিয়া আমাদিগের উদ্ধার কর। এই উদ্ধার করা অনায়াসেই সম্পন্ন হইতে পারিত, সন্দেহ নাই। কিন্তু পলায়িত ব্যক্তিরা পরিত্যক্ত ব্যক্তিদিগের উদ্ধারার্থে এক বারও উদ্যোগ পাইল না। যাহা হউক, তখনও তাহাদিগের অন্য এক আশা ছিল। রয়েল জর্জ নামক এক জাহাজ চিৎপুরের নীচে নঙ্গর করিয়া ছিল, হলওয়েল সাহেব ঐ জাহাজ গড়ের নিকট আনিবার নিমিত্ত দুই জন ভদ্রলোককে পাঠাইয়া দিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে উহা আসিবার সময় চড়ায় লাগিয়া গেল, আর উঠাইতে পারা গেল না। এইরূপে, দুর্গতি হভাগ্য লোকদিগের শেষ আশাও উচ্ছিন্ন হইল।
১৯এ, রাত্রিতে, বিপক্ষের দুর্গের চতুর্দিস্থ অবশিষ্ট গৃহ সকলে অগ্নি প্রদান করিয়া, ২০এ, পুনর্ব্বার পুর্বাপেক্ষায় অধিকতর পরাক্রম পূর্ব্বক আক্রমণ করিল। হালওয়েল সাহেব, আর নিবারণ চেষ্টা করা ব্যর্থ বুঝিয়া, নবাবের সেনাপতি মাণিকচাঁদের নিকট পত্র দ্বারা সন্ধি প্রার্থনা করিলেন। দুই প্রহর চারিটার সময়, এক জন শত্রুপক্ষীয় সৈনিক পুরুষ কামান বন্ধ করিতে সঙ্কেত করে; তাহাতে ইঙ্গরেজেরা, সেনাপতির উত্তর আইল বোধ কৃরিয়া, আপনাদিগের কামান ছোড়া রহিত করিলেন। তাঁহারা এইরূপ করিবামাত্র বিপক্ষের প্রাচীরের নিকট দৌড়িয়া আইল, প্রাচীর লজ্জন করিয়া দুর্গ মধ্যে প্রবেশ করিবার উদ্যোগ করিতে লাগিল এবং তৎপরে