এক ঘণ্টার মধ্যেই ঐ দুর্গ অধিকার করিয়া লঠ আরম্ভ করিল।
পাঁচটার সময়,সিরাজউদ্দৌলা চৌপালায় চড়িয়া দুর্গমধ্যে উপস্থিত হইলে, ইউরোপীয়রা তাহার সম্মুখে আনীত হইল। হালওয়েল সাহেবের দুই হস্ত বদ্ধ ছিল, নবাব, খুলিয়া দিতে আজ্ঞা দিয়া, তাঁহাকে এই বলিয়া আশ্বাস প্রদান করিলেন, তোমার মস্তকের একটা কেশও স্পর্শ করা যাইবে না। অনন্তর বিস্ময় প্রকাশ পূৰ্বক কহিলেন, এত অল্প সংখ্যক ব্যক্তি কিরূপে চারিশতগুণ অধিক সৈন্যের সহিত এত অধিক কাল যুদ্ধ করিল। পরে, এক অনাবৃত প্রদেশে সভা করিয়া, কৃষ্ণদাসকে সম্মুখে আনিতে আদেশ করিলেন। নবাব যে ইঙ্গরেজদিগকে আক্রমণ করেন, কৃষ্ণদাসকে আশ্রয় দেওয়াই তাহার এক প্রধান কারণ। তাহাতে সকলে অনুমান করিয়াছিল, তিনি কৃষ্ণদাসের গুরুতর দণ্ড বিধান করিবেন। কিন্তু তিনি, তাহা না করিয়া, তৎপরির্তে তাহাকে এক মর্যাদাসুচক পরিচ্ছদ পুরস্কার দিলেন।
বেলা ছয় সাত ঘটিকার সময়, নবাব, সেনাপতি। মাণিকদের হস্তে দুর্গ সমৰ্পণ করিয়া, শিবিরে প্রত্যাগমন করিলেন। সমুদায়ে এক শত ছচল্লিশ জন ইউরোপীয় বন্দী ছিল। সৈন্যাধ্যক্ষ, সেই রাত্রি তাহাদিগকে যেখানে রাখিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতে পারেন, এমত এক স্থান অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। তৎকালে দুর্গের মধ্যে,দীর্ঘে দ্বাদশ ও প্রস্থে নয় হস্ত প্রমাণ, এক গৃহছিল। বায়ুসঞ্চারের নিমিত্ত তাহার এক এক দিকে এক এক মাত্র