পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩ অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৪১

সহিত মন্ত্রণ করিতেছিলেন। খোজাবাজীদ নামক এক কাশ্মীরদেশীয় বণিক্ এই সকল কুমন্ত্রণার সাধক হইয়াছিলেন।

 খোজাবাজীদ আলিবর্দি খাঁর অত্যন্ত অনুগ্রহপত্র ছিলেন। লবণব্যবসায় তাঁহার একচাটিয়া ছিল। তিনি এমত ঐশ্বর্যশালী ছিলেন যে সহস্র মুদ্রা তাঁহার দৈনন্দিন ব্যয় ছিল; এবং এক বার তিনি নবাবকে পঞ্চদশ লক্ষ টাকা উপহার দিয়াছিলেন। পূর্ব্বে তিনি মুরশিদাবাদে ফরাসিদিগের এজেণ্ট ছিলেন। পরে, চন্দননগর পরাজয় দ্বারা তাঁহাদিগের অধিকার উচ্ছিন্ন হইলে, ইঙ্গরেজদিগের পক্ষে আইসেন।

 সিরাজউদ্দৌলা তাঁহাকে অত্যন্ত বিশ্বাস করিতেন। কিন্তু উক্ত নবাবকে রাজ্যভ্রষ্ট করিবার নিমিত্ত, ইঙ্গরেজদিগকে আহ্বান করিবার বিষয়ে, তিনিই প্রধান উদ্যোগ হইয়াছিলেন। রাজবিপ্লবের পর তিনি দেখিলেন যে ইঙ্গরেজদিগের নিকট যে সকল আশা করিয়াছিলেন, তাহা পূর্ণ হইল না। অতএব ইঙ্গরেজদিগের দমন করিবার নিমিত্ত, বহুসংখ্যক ওলন্দাজী সৈন্য আনয়ন বিষয়ে যত্নবান হইয়াছিলেন।

 তৎকালে চুঁচুড়ার কৌন্সিলে দুই পক্ষ ছিল। তন্মধ্যে এক পক্ষের প্রধান গবর্ণর বিসদম সাহেব। ইনি ক্লাইবের বন্ধু ছিলেন। তাহার নিতান্ত বাসনা, কোন রূপে সন্ধি ভঙ্গ না হয়। আর রর্ণেট নামক এক ব্যক্তি অন্য পক্ষের প্রধান ছিলেন। এই পক্ষের লোকেরা অত্যন্ত উদ্ধত ছিলেন; এবং তাঁহাদিগের মতানুসারেই চুঁচুড়ার