পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৩ অ

 এই নরাধম ইতিপূর্ব্বে দুই জন নিজ কর্ম্মকারকের প্রাণদণ্ড করিয়াছিল, এবং স্বহস্তে দুই ভোগ্যা কামিনীর মস্তকচ্ছেদন করে। আলিবর্দ্দি খাঁর দুই কন্যা, ঘেসিতিবেগম ও আমানবেগম, আপন আপন স্বামী নিবাইশ মহমদ ও সায়দ অহমদের মৃত্যুর পর, গুপ্তভাবে ঢাকায় বাস করিতেছিলেন। মীরন, এই যুদ্ধ যাত্রাকালে, তাঁহাদের দুই জনের প্রাণবধ করিতে আজ্ঞা প্রেরণ করিলেন। ঢাকার গবর্ণর এই নিষ্ঠুর ব্যাপার সমাধানে অসম্মত হওয়াতে, পরিশেষে এক ভৃত্যকে এই আজ্ঞা দিয়া পাঠাইলেন যে তাহাদিগকে, মুরশিদাবাদ আনয়নচ্ছলে নৌকায় আরোহণ করাইয়া, পথের মধ্যে নৌকা সমেত জলমগ্ন করিবে।

 এই নির্দেশ প্রকৃতরূপেই প্রতিপালিত হইল। হত্যা কারিয়া, ডুবাইয়া দিবার নিমিত্ত, নৌকার ছিপী খুলিতে উপক্রম করিলে, কনিষ্ঠা ভগিনী করুণস্বরে কহিলেন হে সর্ব্বশক্তিমন্ জগদীশ্বর! আমরা উভয়েই পাপীয়সী ও অপরাধিনী বটি; কিন্তু মীরনের কখন কোন অপরাধ করি নাই; প্রত্যুত, আমরাই তাহার এই সমুদায় আধিপত্যের মূল।

 মীরন, প্রস্থান কালে, স্বীয় স্মরণপুস্তকে এই অতিপ্রায়ে তিন শত ব্যক্তির নাম লিখিয়াছিলেন, যে প্রত্যাগমন করিয়া ইহাদের প্রাণ দণ্ড করিব। কিন্তু আর তাঁহাকে প্রত্যাগমন করিতে হইল না।

 কর্ণেল কালিয়ড রামনারায়ণকে এই অনুরোধ করিয়াছিলেন, যাবৎ জামি উপস্থিত না হই, আপনি কোন