চতুর্থ অধ্যায়।
১৭৬০ খৃঃ অব্দের ৪ঠা মার্চ, ইঙ্গরেজের মীরকাসিমকে বাঙ্গালা ও বিহারের সুবাদার করিলেন। তিনি এই মহোপকারের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ কোম্পানি বাহাদুরকে বর্দ্ধমান প্রদেশের অধিকার প্রদান করিলেন; এবং কলিকাতার কৌন্সিলের মেম্বরদিগকে বিংশতি লক্ষ টাকা উপঢৌকন দিলেন। সেই টাকা তাঁহারা সকলে যথাযোগ্য ভাগ করিয়া লইলেন।
মীরকাসিম অত্যন্ত বুদ্ধিশালী ও ক্ষমতাপন্ন ছিলেন। তিনি, সিংহাসনে নিবিষ্ট হইয়াই, ইঙ্গরেজদিগকে এবং মীরজাফরের ও নিজের সৈন্য ও কর্ম্মকারকদিগকে যত টাকা দিতে হইবেক, প্রথমতঃ তাহার ঠিক হিসাব প্রস্তুত করিলেন, তৎপরে সেই সকল পরিশোধ করিবার উপায় দেখিতে লাগিলেন। তিনি রাজসভার ব্যয় সংক্ষেপ করিয়া আনিলেন; অভিনিবেশ পূর্ব্বক সমুদায় হিসাব দেখিতে লাগিলেন; এবং, মীরজাফরের শিথিল শাসন কালে, রাজপুরুষেরা যত টাকা অপহরণ করিয়াছিল, অনুসন্ধান করিয়া তাহাদের নিকট হইতে সেই সকল ফিরিয়া লইতে লাগিলেন। তিনি জমীদার দিগের নিকট হইতে কেবল বাকী আদায় করিয়াই ক্ষান্ত হইলেন এমত নহে, সমুদায় জমীদারীর নূতন বন্দোবস্তও করিলেন। তাঁহার অধিকারের পুর্ব্বে, দুই প্রদেশের রাজস্ব বার্ষিক ১৪২৪৫০০০ টাকা নির্ধারিত ছিল, তিনি বৃদ্ধি করিয়া ২৫৬২৪০০ করিলেন। এই সকল উপায়