পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪ অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৫৭

 ভারতবর্ষে যে সকল পণ্যদ্রব্য দেশ হইতে দেশান্তরে নীত হইত তাহার শুল্ক হইতেই অধিকাংশ রাজস্ব উৎপন্ন হইত। এইরূপে রাজস্বগ্রহণ করা এক প্রকার অসভ্যতার প্রথা বলিতে হইবেক; যেহেতু ইহাতে বাণিজ্যের বিলক্ষণ ব্যাঘাত জন্মে। কিন্তু এই কালে ইহা অত্যন্ত প্রচলিত ছিল; এবং ইঙ্গরেজেরাও ১৮৩৫ খৃঃ অব্দের পূর্ব্বে ইহা রহিত করেন নাই। যখন কোম্পানি বাহাদুর সালিয়ানা তিন হাজার টাকার পেস্কস দিয়া বাণিজ্য করিবার অনুমতি পাইলেন তদবধি তাঁহাদের পণ্যদ্রব্যের মাশুল লাগিত না। কলিকাতার গবর্ণর এক দস্তক স্বাক্ষর করিতেন; মাশুলঘাটায় তাহা দেখাইলেই কোম্পানির বস্তু সকল বিনা মাশুলে চলিয়া যাইত।

 এই অধিকার কেবল কোম্পানির নিজের বাণিজ্য বিষয়েই ছিল। কিন্তু যখন ইঙ্গরেজেরা অত্যন্ত পরাক্রান্ত হইয়া উঠিলেন, তখন কোম্পানির যাবতীয় কর্ম্মকারকে রাই নিজ নিজ বাণিজ্য আরম্ভ করিলেন। যত দিন ক্লাইব এ দেশে ছিলেন, তাঁহারা সকলেই, দেশীয় বণিকদিগের ন্যায়, রীতিমত শুক প্রদান করিতেন। পরে যখন তিনি স্বদেশ যাত্রা করিলেন এবং কৌনসিলের সাহেবের অন্য এক নবাবকে সিংহাসন প্রদান করিলেন, তখন তাঁহারা আরো প্রবল হইয়া বিনা শুল্কেই বাণিজ্য করিতে লাগিলেন। ফলতঃ তৎকালে তাঁহারা এমত প্রবল হইয়া ছিলেন যে তাঁহাদিগকে কোন প্রকার বাধা দিতে নবাবের কর্ম্মকারকদিগের সাহস হইত না।

 ইঙ্গরেজদের গোমাস্তারা,শুল্ক বঞ্চন করিবার নিমিত্ত,