ইচ্ছানুসারে ইঙ্গরেজী নিশান তুলিত এবং দেশীয় বণিক ও রাজকীয় কর্ম্মকারকদিগকে যৎপরোনাস্তি ক্লেশ দিত। ব্যক্তি মাত্রেই, যে কোন ইঙ্গরেজের স্বাক্ষরিত দস্তক হস্তে করিয়া, আপনাকে কোম্পানি বাহাদুরের তুল্য পরাক্রান্ত বোধ করিত। নবাবের লোকেরা কোন বিষয়ে আপত্তি করিলে, ইউরোপীয় মহাশয়েরা, সিপাই পাঠাইয়া; তাহাদিগকে ধরিয়া আনিতেন ও কারাবদ্ধ করিয়া রাখিতেন। শুল্ক না দিয়া কোন স্থানে কিছু দ্রব্য লইয়া যাইবার ইচ্ছা হইলে, নাবিকেরা নৌকার উপর কোম্পানির নিশান তুলিয়া দিত।
ফলতঃ, এইরূপে নবাবের পরাক্রম একবারেই বিলুপ্ত হইল। দেশীয় বণিকদিগের সর্ব্বনাশ উপস্থিত হইল। ইঙ্গরেজ মহাত্মারা অসীম ধনশালী হইয়া উঠিলেন। নবাবের রাজত্ব অত্যন্ত ন্যূন হইল। যেহেতু ইঙ্গরেজেরাই কেবল শুল্ক দিতেন না এমত নহে; যাহারা তাঁহাদের চাকর বলিয়া পরিচয় দিত, তাহারাও তাঁহাদের নাম করিয়া মাশুল ফাকি দিতে আরম্ভ করিল। মীরকাসিম, এই সকল অত্যাচারের উল্লেখ করিয়া, কলিকাতার কৌন্সিলে অনেক বার অভিযোগ করিলেন। পরিশেষে তিনি এই বলিয়া ভয় দেখাইলেন, আপনারা ইহার নিবারণ না করিলে, আমি রাজাধিকার পরিত্যাগ করিব।
বান্সিটার্ট ও হেষ্টিংস সাহেব এই সকল অন্যায় নিবারণের অনেক চেষ্টা করিলেন; কিন্তু কৌন্সিলের অন্যান্য মেম্বরের। ঐ সকল অবৈধ উপায় দ্বারা ধন সঞ্চয়