পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪অ
বাঙ্গালার ইতিহাস
৬১

মত শুল্ক লইতে হইবেক এবং ইঙ্গরেজদিগকে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করিতে দিতে হইবেক। এই বিষয়ে ঘোরতর বিতণ্ডা উপস্থিত হইল। হেষ্টিংস সাহেব কহিলেন মীরকাসিম অধীশ্বর রাজা, নিজ প্রজাগণের হিতানুষ্ঠান কেন না করিবেন। ঢাকার কুঠীর অধ্যক্ষ বাটসন সাহেব কহিলেন এ কথা নবাবের গোমাস্তারা কহিলে সাজে; কৌন্সিলের মেম্বরের উপযুক্ত নহে। হেষ্টিংস কহিলেন পাজী না হইলে এরূপ কথা মুখে আনে না।

 এইরূপ রাগাসক্ত হইয়া কৌন্সিলের মেম্বরেরা এবম্বিধ গুরুতর বিষয়ে বাদানুবাদ করিতে লাগিলেন। পরিশেষে এই নিৰ্দ্ধারিত হইল, যে দেশীয় লোকের বাণিজ্যেই পূর্ব্ব নিরূপিত শুল্ক স্থির থাকে, এ বিষয়ে উপরোধ করিবার নিমিত্ত আমিয়ট ও হে সাহেব মীরকাসিমের নিকট গমন করুন। অনন্তর তাঁহারা তথায় পহুছিয়া নবাবের সহিত কয়েক বার সাক্ষাৎ করিলেন। প্রথমতঃ বোধ হইয়াছিল সকল বিষয়েরি নিম্পত্তি হইতে পরিবেক। কিন্তু পাটনার কুঠীর অধ্যক্ষ এলিস সাহেবের দুর্বৃত্ততা দ্বারা সন্ধির আশা একবারেই উচ্ছিন্ন হইল। কোম্পানির সমুদায় কর্ম্মকারকের মধ্যে তিনি অত্যন্ত অশান্ত ছিলেন। নবাব আমিয়ট সাহেবকে বিদায় দিলেন; কিন্তু তাঁহার যে সকল কর্ম্মকারক কলিকাতায় কয়েদ ছিল,হে সাহেবকে তাহাদের প্রতিভূ স্বরূপ আটক করিয়া রাখিলেন। আমিয়ট সাহেব নবাবের হস্তবহির্ভূত হইয়াছেন বোধ করিয়া, এলিস সাহেব অতর্কিত-