পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৪অ

পতি বিশ্বাসঘাতক। তৎপরে এক দিবস অতীত না হইভেই, আরমানি সেনাপতি গর্গিন খাঁ পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হয়েন।

 তদনন্তর মীরকাসিম সত্বর হইয়া পাটনা পলায়ন করিলেন। মুঙ্গের ইঙ্গরেজদিগের হস্তগত হইল। তখন তিনি বিবেচনা করিলেন পাটনাও পরিত্যাগ করিতে হইবেক এবং পরিশেষে দেশত্যাগীও হইতে হইবেক। ইঙ্গরেজদের উপর তাঁহার ক্রোধের ইয়ত্তা ছিল না; অতএব তিনি পাটনা পরিত্যাগের পূর্ব্বে, সমস্ত ইঙ্গরেজ বন্দীদের প্রাণদণ্ড নিশ্চয় করিয়া, আপন সেনাপতিদিগকে বন্দীগৃহে গিয়া তাহাদের প্রাণবধ করিতে আজ্ঞা দিলেন। ইহাতে তাঁহারা উত্তর করিলেন আমরা ঘাতক নহি যে বিনা যুদ্ধে প্রাণবধ করিব; তাহাদের হস্তে অস্ত্র প্রদান করুন, যুদ্ধ করিতে প্রস্তুত আছি। তাহারা এইরূপে অস্বীকার করাতে, নবাব শমরূ নামক এক ইউরোপীয় কর্ম্মকারককে তাহাদের প্রাণবধের আজ্ঞা দিলেন।

 এই দুরাত্মা পূর্ব্বে ফরাসিদিগের একজন সার্জন ছিল, পরে মীরকাসিমের নিকট নিযুক্ত হয়। সে এই জুগুপ্সিত ব্যাপার সমাধানের ভার গ্রহণ করিল; এবং কিয়ৎসংখ্যক সৈন্য সহিত কারাগৃহে প্রবিষ্ট হইয়া গুলী করিয়া,ডাক্তর ফুলর্টন ব্যতিরিক্ত,সকলেরি প্রাণবধ করিল। আটচল্লিশ জন ভদ্র ইঙ্গরেজ ও একশত পঞ্চাশ জন গোরা এইরূপে পাটনায় পঞ্চস্থ প্রাপ্ত হইল। শমরু তৎপরে অনেক রাজার নিকট কর্ম্ম করে; পরিশেষে সিরথানার আধিপত্য প্রাপ্ত হয়। এই হত্যায় যে সকল লোক হত হয় তাহার মধ্যে কৌন্সিলের মেম্বর এলিশ,