পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৫অ

৩রা মে, কলিকাতায় উত্তীর্ণ হইয়া দেখিলেন ডিরেক্টরেরা যে সকল আপদ্ আশঙ্কা করিয়া উদ্বিগ্ন হইয়াছিলেন সে সমস্ত অতিক্রান্ত হইয়াছে, কিন্তু গবর্ণমেণ্ট যৎপরোনাস্তি বিশৃঙ্খল হইয়া উঠিয়াছে। অন্যের কথা দূরে থাকুক, কৌন্সিলের মেম্বরেরাও কোম্পানির মঙ্গল চেষ্টা করেন না। সমুদায় কর্ম্মকারকেরই এই অভিপ্রায়, যে কোন উপায়ে শীঘ্র শীঘ্র অর্থ সঞ্চয় করিয়া ত্বরায় ইংলণ্ড প্রতিগমন করিব। সকল বিষয়েই সম্পূর্ণরূপ অবিচার। আর এতদ্দেশীয় লোকদিগের উপর এত অত্যাচার হইতে আরম্ভ হইয়াছিল যে ইঙ্গরেজ এই শব্দ শুনিলেই তাঁহাদের মনে ঘৃণার উদয় হইত। ফলতঃ, তৎকালে গবর্ণমেণ্ট সংক্রান্ত ব্যক্তিদিগের ধর্ম্ম জ্ঞান ও ভদ্রতার লেশমাত্র ছিল না।

 পূর্ব্ব বৎসর ডিরেক্টরেরা দৃঢ়রূপে আজ্ঞা করিয়াছিলেন তাঁহাদের কর্ম্মকারকেরা আর কোন রূপে উপঢৌকন লইতে পারিবেন না। এই আজ্ঞা উপস্থিত হইবার সময় বৃদ্ধ নবাব মীরজাফর মৃত্যুশয্যায় ছিলেন। কৌন্‌সিলের মেম্বরের উক্ত আজ্ঞা কৌন্‌সিলের পুস্তকে নিবিষ্ট করেন নাই; বরং, মীরজাফরের মৃত্যুর পর, অন্য এক ব্যক্তিকে নবাব করিয়া তাঁহার নিকট অনেক উপহার গ্রহণ করেন। সেই পত্রে ডিরেক্টরেরা ইহাও আদেশ করিয়াছিলেন, তাঁহাদের কর্ম্মকারকদিগকে নিজ নিজ বাণিজ্য পরিত্যাগ করিতে হইবেক। কিন্তু এই স্পষ্ট আজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়া কৌন্‌সিলের সাহেবেরা নূতন নবাবের সহিত