পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৭৩

 পলাশির যুদ্ধের পর ইঙ্গরেজদিগের পক্ষে যে সকল হিতজনক ব্যাপার ঘটে, এই বিষয় সেই সকল অপেক্ষা গুরুতর। ইঙ্গরেজের ঐ যুদ্ধ দ্বারা বাস্তবিক এতদ্দেশের প্রভু হইয়াছিলেন বটে; কিন্তু এতদ্দেশীয় লোকের এপর্যন্ত তাঁহাদিগকে কেবল জেতৃস্বরূপ গণনা করিতেন; এক্ষণে, সম্রাটের এই দান দ্বারা, তিন প্রদেশের যথার্থ অধিকারী ৰোধ করিলেন। তদবধি মুরশিদাবাদের নবাব সাক্ষিগোপাল হইলেন। ক্লাইব এই সকল ব্যাপার সমাধান করিয়া, ৭ই সেপ্টম্বর, কলিকাতা প্রত্যাগমন করিলেন।

 কোম্পানির কর্ম্মকারকেরা যে নিজ নিজ বাণিজ্য করিতেন, তাহাতেই যৎপরোনাস্তি অত্যাচার ঘটিত। অতএব ডিরেক্টরেরা বারম্বার এই আদেশ করেন যে ইহা একবারেই রহিত হয়। কিন্তু তাঁহাদের কর্ম্মকারকেরা ঐ সকল হুকুম এপর্যন্ত গোলমাল করিয়া রাখিয়াছিলেন। তাঁহাদিগের অন্তিম আদেশ কিঞ্চিৎ অস্পষ্ট ছিল; এবং ক্লাইবও বিবেচনা করিলেন যে সিবিল সরবেণ্টদিগের বেতন অত্যন্ত অল্প; সুতরাং তাহারা অবশ্যই গৰ্হিত উপায় দ্বারা পোষাইয়া লইবেক। অতএব তিনি তাহাদের বাণিজ্য, একবারে রহিত না করিয়া, ভদ্র রীতিক্রমে চালাইবার মনস্থ করিলেন।

 অনন্তর ক্লাইৰ লবণ, গুবাক, তবাক, এই তিন বস্তুর বাণিজ্য ভদ্র রীতিক্রমে চালাইবার নিমিত্ত এক সভা স্থাপন করিলেন। নিয়ম হইল, শীত করা ৩৫ টাকার