পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৮৫

লেন। আর যিনি অত্যন্ত কম দিতে চাহিলেন, তাঁহাকে পেন্সিয়ন দিয়া অধিকারচ্যুত করিয়া, তৎপরিবর্ত্তে অন্য ব্যক্তিকে অধিকার দেওয়াইলেন। গবর্ণর স্বচক্ষে সমুদায় দেখিতে পরিবেন, এই অভিপ্রায়ে মালের কাছারী মুরশিদাবাদ হইতে কলিকাতায় আনীত হইল।

 এইরূপে রাজস্ব কর্ম্মের নিয়ম পরিবর্ত্ত হওয়াতে, দেশের দেওয়ানী ও ফৌজদারী কর্ম্মেরও নিয়ম পরিবর্ত্ত আবশ্যক হইল। প্রত্যেক প্রদেশে, এক ফৌজদারী এক দেওয়ানী, দুই দুই বিচারালয় সংস্থাপিত হইল। ফৌজদারী আদালতে কালেক্টর সাহেব, কাজী, ও মুকতী এই কয়েক জন একত্র হইয়া বিচার করিতেন। আৱ দেওয়ানী আদালতেও কালেক্টর সাহেব মোকদমা করিতেন, দেওয়ান ও অন্যান্য আমলারা তাঁহার সহকারিতা করিত। মোকদ্দমার আপীল শুনিবার নিমিত্ত কলিকাতায় দুই বিচারালয় স্থাপিত হইল। তন্মধ্যে যে স্থলে দেওয়ানী বিষয়ের বিচার হইত, তাহার নাম সদর দেওয়ানী আদালত; ও যে স্থানে ফৌজদারী, তাহার নাম সদর নিজামৎ আদালত রহিল।

 এপর্য্যন্ত আদালতে যত টাকার মোকদ্দমা উপস্থিত হইত, জজ সাহেব তাহার চতুর্থাংশ লইতেন; এক্ষণে তাহা রহিত হইল; অধিক জরীমানা রহিত হইল; আর মহাজনদিগের, স্বেচ্ছাক্রমে খাদককে রুদ্ধ করিয়া টাকা আদায় করিবার, যে ক্ষমতা ছিল তাহা নিবারিত হইল; আর দশ টাকার অনধিক দেওয়ানী মোকদ্দমার নিষ্পত্তির ভার পরগনার প্রধান ভূম্যধিকারির হস্তে