দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা
প্রায় নয় বংসর পূর্ব্বে যখন বাঙ্গালার ইতিহাসের প্রথম ভাগ প্রকাশিত হইয়াছিল তখন যে কোন কালে বাঙ্গালা ভাষায় রচিত এই জাতীয় গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ মুদ্রিত করিতে হইবে তাহা আমার মনে হয় নাই। বাঙ্গালার ইতিহাস, প্রথম ভাগ, দেশে ও বিদেশে কিঞ্চিৎ সমাদর লাভ করিয়াছিল, তাহার ফলে প্রথম সংস্করণ চারি পাঁচ বৎসরের মধ্যেই শেষ হইয়া গিয়াছিল। বাঙ্গালার ইতিহাসের প্রকাশক অগ্রজ প্রতিম শ্রীযুক্ত হরিদাস চট্টোপাধ্যায় মহাশয় প্রায় তিন বৎসর পূর্ব্বে এই গ্রন্থের নূতন সংস্করণ রচনা করিতে আদেশ করিয়াছিলেন, কিন্তু সুদীর্ঘ প্রবাস ও অবসরের অভাবের জন্য দ্বিতীয় সংস্করণ মুদ্রণ আরম্ভ হইলেও এক বৎসরের মধ্যে শেষ হয় নাই।
দ্বিতীয় সংস্করণের চতুর্থ পরিচ্ছেদে গুপ্তাধিকার কাল ও সপ্তম হইতে একাদশ পরিচ্ছেদে পাল ও সেন-বংশের ইতিহাস পুনর্ল্লিত হইয়াছে। বিগত দশ বৎসরের মধ্যে যে সমস্ত নূতন শিলালিপি, মুদ্রা বা প্রাচীন নিদর্শন আবিষ্কৃত হইয়াছে তাহার প্রমাণ যতদূর সম্ভব গ্রন্থমধ্যে গৃহীত হইয়াছে। চতুর্থ পরিচ্ছেদ মুদ্রিত হইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস শাস্ত্রের অধ্যাপক ডাক্তার শ্রীযুক্ত রমেশচন্দ্র মজুমদার, সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদের স্তম্ভ লিপিতে দেবরাষ্ট্র ও এরণ্ডপল্ল নামক স্থানদ্বয়ের অবস্থান সম্বন্ধে পণ্ডীচারীর কলোনিয়েল কলেজের অধ্যাপক ডাক্তার জি. জুভো-ডুব্রিল- (Dr. G. Jouveau-Dubreuil)-এর মতের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিলেন। ডাক্তার জুভো-ডুব্রিলের মতে, এরণ্ডপল্ল চিকাকোলের নিকটে অবস্থিত, এরণ্ডপল্লী এবং দেবরাষ্ট্র