জানিতে পারা যায় যে, ভানুগুপ্তের রাজ্যকালে গোপরাজ নামক এক রাজা তাঁহার সহিত সম্ভবতঃ মগধ হইতে মালবদেশে আসিয়াছিলেন এবং তথায় যুদ্ধে নিহত হইয়াছিলেন। ইহা হইতে প্রমাণ হইতেছে যে, ভানুগুপ্ত ১৯১ গৌপ্তাব্দের (৫১০ খৃঃ অব্দ) শ্রাবণ মাসের পূর্ব্বে যুদ্ধযাত্রায় মগধ হইতে মালবে আসিয়াছিলেন। যুদ্ধের ফল বলিতে পার ষায় না। সম্ভবতঃ এই সময় হইতে মালবদেশ বার বার হূণগণ কর্ত্তৃক আক্রান্ত হইয়া অবশেষে গুপ্তসাম্রাজ্য বিচ্যুত হইয়াছিল। ইহার প্রমাণ আর দুইখানি শিলালিপি হইতে পাওয়া যায়। ইরাণে আবিষ্কৃত আর একখানি শিলালিপি হইতে জানিতে পারা যায় যে, বুধগুপ্তের রাজ্যকালে সুরশ্মিচন্দ্র নামক একজন রাজা যমুনা ও নর্ম্মদার মধ্যবর্ত্তী ভূভাগের শাসনকর্ত্তা ছিলেন। এই সময়ে অর্থাৎ ১৬৫ গৌপ্তাব্দে (৪৮৪ খৃঃ অব্দ) ইন্দ্রবিষ্ণুর প্রপৌত্র, বরুণবিষ্ণুর পৌত্র, হরিবিষ্ণুর পুত্র, মহারাজ মাতৃবিষ্ণু ও তাঁহার কনিষ্ঠভ্রাতা ধন্যবিষ্ণু, বিষ্ণুর ধ্বজস্তম্ভ স্থাপন করিয়াছিলেন[১]। ইরাণে আবিষ্কৃত তৃতীয় শিলালিপি হইতে জানিতে পারা যায় যে, হূণরাজ মহারাজাধিরাজ শ্রীতোরমাণের রাজ্যের প্রথমবর্ষে, ফাল্গুনমাসের দশমদিবসে ইন্দ্রবিষ্ণুর প্রপৌত্র, বরুণবিষ্ণুর পৌত্র, হরিবিষ্ণুর পুত্র স্বর্গগত মহারাজ মাতৃবিষ্ণুর অনুজ ভ্রাতা ধন্যবিষ্ণু, ভগবান বরাহমূর্ত্তি অর্থাৎ নারায়ণের একটি শিলাপ্রাসাদ নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন[২]। পিতৃকুলের পরিচয় হইতে প্রমাণ হইতেছে যে, ১৬৫ গৌপ্তাব্দের শিলালিপির মহারাজ মাতৃবিষ্ণু ও তাঁহার কনিষ্ঠভ্রাতা ধন্যবিষ্ণু এবং হূণরাজ তোরমাণের রাজ্যের প্রথমবর্ষের ধন্যবিষ্ণু ও তাঁহার স্বর্গগত জ্যেষ্ঠভ্রাতা মহারাজ
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/১০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
বাঙ্গালার ইতিহাস।