গিয়াছে। ইঁহাদিগের নাম ধর্ম্মাদিত্য, গোপচন্দ্র এবং সমাচার দেব। ইহার পূর্ব্বে কোন শিলালিপি, তাম্রশাসন বা মুদ্রায় এই তিনজন রাজার নাম বা বংশপরিচয় পাওয়া যায় নাই। সম্প্রতি ঢাকা চিত্রশালার অধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টশালী স্থির করিয়াছেন যে, কলিকাতার চিত্রশালায় রক্ষিত, বহুপূর্ব্বে কোন অজ্ঞাত স্থানে আবিষ্কৃত, দুইটি অবিশুদ্ধ সুবর্ণের মুদ্রায় সমাচারদেবের নাম আছে। ধর্ম্মাদিত্য ও গোপচন্দ্রের নাম অদ্যাবধি কোন মুদ্রায় পাওয়া যায় নাই। ধর্ম্মাদিত্যের দুইখানি তাম্রলিপি ফরিদপুর জেলায় আবিষ্কৃত হইয়াছে, ইহার মধ্যে প্রথম খানি তাঁহার তৃতীয় রাজ্যাঙ্কের বৈশাখমাসের পঞ্চম দিবসে প্রদত্ত হইয়াছিল[১]। এই লিপিতে তাঁহার “মহারাজাধিরাজ, পরমেশ্বর বা পরমভট্টারক” উপাধি ব্যবহৃত হয় নাই। এই তাম্রলিপি হইতে জানিতে পারা যায় যে, ধর্ম্মাদিত্যের তৃতীয় রাজ্যাঙ্কে মহারাজ স্থাণুদত্ত গৌড়দেশের এক অংশের শাসনকর্ত্তা ছিলেন এবং তিনি বারকমণ্ডলে জজাব নামক বিষয়পতিকে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। এই সময়ে বাতভোগ নামক একজন সাধনিক, এটিত, কুলচন্দ্র, গরুড়, বৃহচ্চট্ট, আলুক, অনাচার, ভাশৈত্য, শুভদেব, ঘোষচন্দ্র, অনিমিত্র, গুণচন্দ্র, কালসখ, কুলস্বামী, দুর্ল্লভ, সত্যচন্দ্র, অর্জ্জুন, বপ্প, কুণ্ডলিপ্ত প্রভৃতি বিষয় মহত্তরগণকে একব্রাহ্মণকে দান করিবার জন্য একখণ্ড ভূমি ক্রয়ার্থ আবেদন করিয়াছিল। তাহার আবেদনানুসারে পুস্তপাল বিনয়সেনের অবধারণে প্রতিকুল্যবাপের চারদীনার মূল্যানুসারে দ্বাদশ দীনার মূল্য গ্রহণ করিয়া, তিনকুল্যবাপ পরিমাণ ভূমি, বাতভোগকে প্রদান করা হইয়াছিল। এই ভূমি ধ্রুবিলাটীগ্রামে অবস্থিত ছিল। এই
- ↑ Indian Antiquary, Vol. XXXIX, pp. 193-98.