ধ্ৰুবিলাটীর বর্ত্তমান নাম ধুলট, ইহা ফরিদপুর জেলায় ফরিদপুর নগরের চৌদ্দক্রোশ উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত।
ধর্ম্মাদিত্যের দ্বিতীয় তাম্রলিপিতে তারিখ নাই। ইহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, ধর্ম্মাদিত্যের রাজ্যকালে নব্যবকাশিকা নামক স্থানে মহাপ্রতীহার উপরিক নাগদত্ত শাসনকর্ত্তা ছিলেন এবং বারকমণ্ডলে গোপালস্বামী বিষয়ের শাসনকর্ত্তা ছিলেন। এই সময়ে বাসুদেবস্বামী নামক একব্যক্তি, সোমস্বামী নামক এক ব্রাহ্মণকে প্রদান করিবার জন্য, কিঞ্চিৎ ভূমি ক্রয়ের আবেদন করিয়াছিলেন। তাঁহার আবেদন গ্রাহ্য হইয়াছিল এবং এই তাম্রলিপিতে লিপিবদ্ধ হইয়াছিল[১]। গোপচন্দ্রের রাজ্যকালের একখানিমাত্র তাম্রলিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহা তাঁহার রাজ্যের ঊনবিংশবর্ষে প্রদত্ত হইয়াছিল এবং ইহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, উক্তবর্ষে নব্যবকশিকায় মহাপ্রতীহার কুমারামাত্য উপরিক নাগদেব শাসনকর্ত্তা ছিলেন। এই সময়ে বারুকমণ্ডলে বিনিযুক্ত বৎসপালস্বামী শাসনকর্ত্তা ছিলেন। বৎসপালস্বামী স্বয়ং, ভট্টগোমিদত্তস্বামী নামক এক ব্রাহ্মণকে দান করিবার জন্য, কিঞ্চিৎ ভূমিক্রয়ের আবেদন করিয়াছিলেন। সেই আবেদনানুসারে প্রতিকুল্যবাপের চার দীনার মূল্য অবধৃত হওয়ায়, এককুল্যবাপ ভূমি বৎসপালস্বামীকে বিক্রীত হইয়াছিল এবং তিনি উহা পুত্র পৌত্রাদিক্রমে ভোগ করিবার জন্য গোমিদত্তস্বামীকে দান করিয়াছিলেন। এই ভূমির পূর্ব্বদিকে ধ্রুবিলাটীগ্রামের অগ্রহার অবস্থিত ছিল[২]।
চতুর্থ তাম্রশাসনখানি ফরিদপুর জেলায় বাগরাহাটীগ্রামে আবিষ্কৃত