বর্ম্মা এই গুহায় এক কৃষ্ণমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[১]। দ্বিতীয় শিলালিপি নাগার্জ্জুনী পর্ব্বতে বডথি গুহায় উৎকর্ণ আছে এবং ইহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, এই গুহায় অনন্তবর্ম্মা হরপার্ব্বতীর মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[২]। তৃতীয় শিলালিপিটি গোপীকাগুহায় উৎকীর্ণ আছে এবং ইহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, অনন্তবর্ম্মা এই গুহায় কাত্যায়নীদেবীর মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়া তাঁহার সেবার জন্য একখানি গ্রাম দান করিয়াছিলেন[৩]। হর্ষবর্দ্ধন যখন উত্তরাপথ অধিকার করিয়াছিলেন, মৌখরীরাজ্য সেই সময়ে লোপ হইয়াছিল। শেষ মৌখরীরাজ গ্রহবর্ম্মা হৰ্ষবর্দ্ধনের ভগ্নী রাজ্যশ্রীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন[৪] এবং মালবের গুপ্তবংশীয় রাজা দেবগুপ্ত কর্ত্তৃক পরাজিত ও নিহত হইয়াছিলেন[৫]। দামোদরগুপ্তের কন্যা মহাসেনগুপ্তার সহিত স্থাণ্বীশ্বর (বর্ত্তমান থানেশ্বর) রাজ আদিত্যবর্ম্মার বিবাহ হইয়াছিল[৬]। মহাসেনগুপ্তার পুত্র প্রভাকরবর্দ্ধন সর্ব্বপ্রথমে স্থাণ্বীশ্বর-রাজবংশে সম্রাট্ (মহারাজাধিরাজ) উপাধি গ্রহণ করিয়াছিলেন[৭]। দামোদরগুপ্তের পুত্র মহাসেনগুপ্ত লৌহিত্য-তীরে (ব্রহ্মপুত্রতীরে) কামরূপরাজ সুস্থিতবর্ম্মাকে পরাজিত করিয়াছিলেন[৮]।
এই সময়ে উত্তরাপথের পূর্ব্বাঞ্চলে নবশক্তির উন্মেষ হইয়াছিল এবং