রাজধানী বুঝায় না। সম্ভবতঃ ভাস্করবর্ম্মা শশাঙ্কের সহিত দীর্ঘকালব্যাপী যুদ্ধের সময়ে কিয়ৎকাল কর্ণসুবর্ণ অধিকার করিয়াছিলেন এবং সেই সময়ে নিধানপুরে আবিষ্কৃত তাম্রশাসন প্রদত্ত হইয়াছিল। যুদ্ধযাত্রার সময়ে তাম্রশাসন প্রদানের আরও দুই একটি উদাহরণ ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায়। গাহডবালবংশীয় কান্যকুব্জরাজ গোবিন্দচন্দ্র ১২০২ বিক্রমাব্দে মুদ্গগিরিতে গঙ্গাস্নান করিয়া শ্রীধর ঠক্কুর নামক জনৈক ব্রাহ্মণকে একখানি গ্রাম দান করিয়াছিলেন[১]। গোবিন্দচন্দ্র এই সময়ে নিশ্চয়ই যুদ্ধাভিযান উপলক্ষে মুদ্গগিরিতে বা মুঙ্গেরে আসিয়াছিলেন; কারণ, অঙ্গদেশ কখনও গাহডবাল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় নাই।
মাধবগুপ্তের পুত্র আদিত্যসেনের অফসড় গ্রামে আবিষ্কৃত খোদিতলিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, মাধবগুপ্ত হর্ষবর্দ্ধনের বন্ধু ছিলেন[২]। এই খোদিতলিপিতে মহাসেনগুপ্তের নামের পরেই মাধবগুপ্তের নাম আছে, ইহাতে শশাঙ্কের নাম নাই। ভিটরী গ্রামে আবিষ্কৃত সম্রাট দ্বিতীয় কুমারগুপ্তের মুদ্রায় শ্রীগুপ্ত হইতে দ্বিতীয়কুমারগুপ্ত পর্য্যন্ত সমস্ত গুপ্তবংশীয় সম্রাট্গণের নাম আছে, কেবল স্কন্দগুপ্তের নাম নাই[৩]। ইহাতে প্রথম কুমারগুপ্তের জ্যেষ্ঠপুত্র স্কন্দগুপ্তের নামের পরিবর্ত্তে তাঁহার কনিষ্ঠভ্রাতা পুরগুপ্তের নাম দেখিতে পাওয়া যায়। স্কন্দগুপ্তের নাম লোপের দুইটি কারণ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রথম কারণ অপত্যাভাব, দ্বিতীয় কারণ ভ্রাতৃবিরোধ। প্রথম কারণটি সমীচীন বলিয়া বোধ হয় না, কারণ, কেহ কেহ অনুমান করেন যে,