গৌড়ে পৌণ্ড্রবর্দ্ধন, পূর্ব্বদেশে সমতট, রাঢ়ে কর্ণসুবর্ণ ও সুহ্মে তাম্রলিপ্তি দর্শন করিয়াছিলেন। তাঁহার সময়ে পৌণ্ড্রবর্দ্ধনে বিংশতি বৌদ্ধসঙ্ঘারাম ও শতাধিক দেবমন্দির ছিল। এই স্থানেও তিনি বহু দিগম্বর সম্প্রদায়ভূক্ত জৈন দেখিতে পাইয়াছিলেন। সমতটে কিঞ্চিদধিক ত্রিংশতিটি সঙ্ঘারাম ও শতাধিক দেবমন্দির ছিল। সমতটদেশ সমুদ্রতীরে অবস্থিত এবং এই স্থানেও বহু দিগম্বর জৈন পরিদৃষ্ট হইয়াছিল। সমতটের পূর্ব্বে শ্রীক্ষেত্র (বর্ত্তমান প্রোম), কমলাঙ্ক বা কামলঙ্কা (বর্ত্তমান পেগু), দ্বারাবতী (শ্যামদেশের প্রাচীন রাজধানী আয়ুথা বা অযোধ্যার প্রাচীন নাম), যবপতি ও ঈশানপুর (পূর্ব্বে কাম্বোজ বা কাম্বোডিয়া নামক পাঁচটি প্রদেশ ছিল। এই প্রদেশগুলির পূর্ব্বে মহাচম্পা (বর্ত্তমান কোচিন চীন ও আনাম), দক্ষিণপূর্ব্বে যমনদ্বীপ বা যবদ্বীপ (?) অবস্থিত ছিল। তাম্রলিপ্তি সমুদ্রতটে অবস্থিত ছিল। এই স্থানে বহু দেবমন্দির ও দশটিমাত্র বৌদ্ধ সঙ্ঘারাম ছিল। কর্ণসুবর্ণে দশটি সঙ্ঘারামে সম্মতীয় সম্প্রদায়ের প্রায় দ্বিসহস্র ভিক্ষু বাস করিতেন। কর্ণসুবর্ণ নগরে পঞ্চাশটি দেবমন্দির ছিল এবং এই স্থানে নানাধর্ম্মাবলম্বী লোক বাস করিত। ইহার নিকটে রক্তমৃত্তিক সঙ্ঘারাম অবস্থিত ছিল ও নগরমধ্যে অশোক-নির্ম্মিত কয়েকটি স্তূপ বা চৈত্য ছিল[১]।
শ্রীমতীদেবী নাম্নী পত্নীর গর্ভজাত মাধবগুপ্তের আদিত্যসেন নামক পুত্র তাঁহার মৃত্যুর পরে মগধের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন[২]| প্রত্নতত্ত্ববিদ্গণ অনুমান করেন যে, ৬৪৬ অথবা ৬৪৭ খৃষ্টাব্দে হর্ষবর্দ্ধনের মৃত্যু হইয়াছিল[৩]। হর্ষবর্দ্ধনকে হত্যা করিয়া অর্জ্জুন বা অর্জ্জুনাশ্ব