নামক তাঁহার জনৈক অমাত্য কান্যকুব্জের সিংহাসন অধিকার করিয়াছিলেন। এই সময়ে মাধবগুপ্ত অথবা আদিত্যসেন স্বাধীনতা লাভ করিয়াছিলেন। অফ্সড্ গ্রামে আদিত্যসেনের একখালি খোদিতলিপি আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, আদিত্যসেন একটি বিষ্ণুমন্দির নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন, তাঁহার মাতা শ্রীমতীদেবী একটি মঠ নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন এবং তাঁহার পত্নী কোণদেবী একটি পুষ্করিণী খনন করাইয়াছিলেন। এই খোদিতলিপি গৌড়বাসী সূক্ষ্মশিব কর্ত্তৃক রচিত বা উৎকীর্ণ হইয়াছিল[১]। হর্ষবর্দ্ধন কর্ত্তৃক প্রতিষ্ঠিত অব্দের ৬৬ সম্বৎসরে ৬৭১-৭২ খৃষ্টাব্দে সালপক্ষ নামক জনৈক বলাধিকৃত (সেনাপতি) কর্ত্তৃক একটি সূর্য্যমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল[২]। আদিত্যসেনের রাজ্যকালের এই খোদিতলিপিদ্বয় বর্ত্তমান সময়ে অদৃশ্য হইয়াছে। মন্দার পর্ব্বতে আদিত্যসেনের পত্নী পরমভট্টারিকা রাজ্ঞী মহাদেবী কোণদেবী দুইটি পুষ্করিণী খনন করাইয়াছিলেন[৩]। এতদ্ব্যতীত ঝাড়খণ্ডে (দেওঘর) বৈদ্যনাথদেবের মূল মন্দিরের প্রাচীরে সংলগ্ন দ্বাদশ শতাব্দীর একখানি খোদিতলিপিতে আদিত্যসেন ও তৎপত্নী কোষদেবীর (কোণদেবীর) নাম আছে[৪]। আদিত্যসেনের মৃত্যুর পরে তাঁহার পুত্র দেবগুপ্ত মগধের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। দেবগুপ্ত ব্যতীত আদিত্যসেনের আর এক কন্যা ছিলেন, তাঁহার সহিত মৌখরিবংশীয় নরপতি ভোগবর্ম্মার বিবাহ হইয়াছিল[৫]। দেবগুপ্তের পত্নীর নাম কমলাদেবী এবং তাঁহার
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/১৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম পরিচ্ছেদ।
১১৭