১৯১৫ খৃষ্টাব্দের মার্চ্চ মাসে যুক্ত প্রদেশের বড়বাঁকী জেলায় হড়াহাগ্রামে একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, ইহা মৌখরিবংশীয় ঈশানবর্ম্মার রাজ্যকালে ৬১১ বিক্রমাব্দে উৎকীর্ণ হইয়াছিল। এই শিলালিপিতে হরিবর্ম্মা, তৎপুত্র আদিত্যবর্ম্মা, তৎপুত্র ঈশ্বরবর্ম্মা, তৎপুত্র ঈশানবর্ম্মা এবং তৎপুত্র সূর্য্যবর্ম্মার উল্লেখ আছে। এই শিলালিপির ত্রয়োদশ শ্লোক হইতে জানিতে পারা যায় যে, ঈশানবর্ম্মা অন্ধ্র, শূলিক এবং সমুদ্রতীরবাসী গৌড়গণকে পরাজিত করিয়াছিলেন।[১]
বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথমভাগের প্রথম সংস্করণের ৯৫ পৃষ্ঠায় উল্লিখিত সমতটের পূর্ব্বদিকে অবস্থিত শ্রীক্ষেত্র, কামলঙ্কা বা কমলাঙ্ক, দ্বারাবতী, মহাচম্পা, ঈশানপুর ও যবদ্বীপ এই ছয়টি প্রদেশের বর্ত্তমান অবস্থান সম্বন্ধে মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য বিদ্যাবিনোদ মহাশয় বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়াছেন[২]। এই প্রবন্ধে লেখক বাঙ্গালার ইতিহাসে এই ছয়টি দেশের যথোপযুক্ত অবস্থান নির্ণীত হয় নাই ইহাই প্রমাণ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। বিদ্যাবিনোদ মহাশয় তাঁহার বাঙ্গালা প্রবন্ধ কিঞ্চিৎ পরিবর্ত্তিত করিয়া বিলাতের Royal Asiatic Society পত্রিকায় দ্বিতীয়বার মুদ্রিত করিয়াছেন[৩]। ইংরাজী প্রবন্ধে বাঙ্গালার ইতিহাসের উল্লেখ নাই তবে উভয় প্রবন্ধের নাম একই: “সমতটের পূর্ব্বে” “To the East of Samatata”। এই প্রবন্ধে বিদ্যাবিনোদ মহাশয় প্রমাণ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন যে শ্রীক্ষেত্র বর্ত্তমান কুমিল্লা, ঈশানপুর মণিপুর রাজ্যে অবস্থিত, বিষ্ণুপুর এবং মহাচম্পা ব্রহ্মদেশে ভামোনগরের নিকটে অবস্থিত সম্পেনাগো। বিদ্যাবিনোদ মহাশয়ের ইংরাজী প্রবন্ধ প্রকাশিত হইবার পরে ফরাসী প্রত্নতত্ত্ববিদ্ লুই ফিনো (Louis Finot) স্পষ্ট প্রমাণ করিয়াছেন যে, মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদ মহাশয় এ সম্বন্ধে নূতন কথা কিছুই বলিতে পারেন নাই (In conclusion, I am bound to say that the paper of Mr. P. B. V. leaves the question unchanged, and that the identifications previously accepted are just as firmly estab-