শতাব্দীর শেষ পাদে উৎকীর্ণ হইয়াছিল। অতএব অনুমান হয় যে, অষ্টম শতাব্দীর তৃতীয় বা চতুর্থ পাদে, পৌণ্ড্ররাজ শৈলবংশীয় দ্বিতীয় জয়বর্দ্ধনের জ্যেষ্ঠ পিতামহ কর্ত্তৃক নিহত হইয়াছিলেন। শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ অনুমান করেন যে শৈলবংশ ও কোঙ্গোদের শৈলোদ্ভববংশ অভিন্ন, কিন্তু শব্দগত সাদৃশ্য ব্যতীত এই অনুমানের পক্ষে অন্য কোনও প্রমাণ নাই। খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে কামরূপরাজ হর্ষদেব গৌড়, ওড্র, কলিঙ্গ ও কোশলদেশের অধিপতি ছিলেন। নেপালের লিচ্ছবীবংশীয় নরপতি শিবদেব, সম্রাট আদিত্যসেনের দৌহিত্রী ও মৌখরিরাজ ভোগবর্ম্মার দুহিতা বৎসদেবীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন। শিবদেব ও বৎসদেবীর পুত্র জয়দেব ভগদত্তবংশজাত কামরূপরাজ শ্রীহর্ষদেবের কন্যা রাজ্যমতীকে বিবাহ করিয়াছিলেন। নেপালে পশুপতিনাথ মন্দিরের পশ্চিম তোরণের পার্শ্বে সংলগ্ন জয়দেবের খোদিতলিপি হইতে অবগত হওয়া যায়, যে ১৫৬ শ্রীহর্ষাব্দে (৭৫৯ খৃষ্টাব্দে) এই খোদিতলিপি উৎকীর্ণ হইয়াছিল। এই খোদিতলিপি হইতে জয়দেবের বংশপরিচয় ও তাঁহার শ্বশুর বংশের বিবরণ জানিতে পার যায়। জয়দেবের খোদিতলিপিতে, হর্ষদেব গৌড়, ওড্র, কলিঙ্গ ও কোশলপতি উপাধিতে ভূষিত হইয়াছিলেন; অতএব ৭৫৯ খৃষ্টাব্দের পূর্ব্বে গৌড়দেশে হর্ষদেব কর্ত্তৃক অধিকৃত হইয়াছিল[১]। হর্ষদেব কামরূপরাজ বলিয়া খোদিতলিপিতে স্পষ্টভাবে উল্লিখিত নাই, তবে তাঁহার কন্যা রাজ্যমতীর “ভগদত্তরাজকুলজা” উপাধি দেখিয়া বোধ হয় যে, হর্ষদেব কামরূপাধিপতি ছিলেন। গৌড়দেশ হর্ষদেব কর্ত্তৃক বিজিত হইয়াছিল, অথবা তাঁহার পূর্ব্বেই জিত হইয়াছিল, তাহা নির্ণয় করিবার কোন উপায় নাই। অনুমান হয় যে, খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর প্রথম পাদে গৌড়,
- ↑ Indian Antiquary, Vol. IX, p. 178.