(Sylvain Levi) স্থির করিয়াছেন যে, যশোবর্ম্মা ৭৩৪ হইতে ৭৪৭ খৃষ্টার পর্য্যন্ত সময়ের মধ্যে চীন দেশে দূত প্রেরণ করিয়াছিলেন[১]। কাশ্মীর রাজ ললিতাদিত্য মুক্তাপীড় যশোবর্ম্মাকে পরাজিত করিয়া অবশেষে তাঁহাকে সিংহাসনচ্যুত করিয়াছিলেন[২]। যশোবর্ম্মা মগধদেশে যশোবর্ম্মপুর নামক একটি নগর স্থাপন করিয়াছিলেন; পালবংশীয় সম্রাট্ দেবপালদেবের খোদিতলিপিতে যশোবর্ম্মপুরের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়[৩]। যশোবর্ম্মা পরাজিত হইলে, গৌড়মগুলের অধিপতি, ললিতাদিত্যকে কতকগুলি হস্তী উপহার দিয়া তাঁহার সন্তোষবিধান করিয়াছিলেন। তাঁহার পরে কাশ্মীর-রাজের আদেশে গৌড়পতিকে বোধ হয় কাশ্মীরে যাইতে হইয়াছিল। ললিতাদিত্য স্বনির্ম্মিত পরিহাসপুর (বর্ত্তমান পরসপোর) নামক নগরে[৪] প্রতিষ্ঠিত “পরিহাসকেশব” নামক দেবতাকে মধ্যস্থ রাখিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে, তিনি তাঁহার অতিথির অঙ্গে হস্তক্ষেপ করিবেন না। কিন্তু ললিতাদিত্য ত্রিগ্রামী নামক স্থানে অতিথি হত্যা করিয়া স্বপ্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিয়াছিলেন। গৌড়পতির ভৃত্যগণ প্রতিশোধ লইবার জন্য সারদাদেবীর মন্দিরে তীর্থযাত্রার ছলে কাশ্মীরদেশে প্রবেশ করিয়া “পরিহাসকেশবের” মন্দির অবরোধ করিয়াছিল। ললিতাদিত্য তখন কাশ্মীরে ছিলেন না। রাজার অনুপস্থিতিকালে গৌড়গণকে মন্দির-প্রবেশে উদ্যত দেখিয়া মন্দিরের
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/১৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
বাঙ্গালার ইতিহাস