স্মিথ (Vincent A. Smith) বলেন যে, জয়াপীড়ের গৌড়দেশ-গমনের কথা সম্পূর্ণরূপে কল্পনাপ্রসূত[১]। গৌড়রাজমালা-প্রণেতা কহ্লনের উক্তি বিশ্বাস করিতে প্রস্তুত নহেন[২]। কেবল শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু ও ৺ব্যোমকেশ মুস্তফী জয়াপীড় ও জয়ন্তের কাহিনী ঐতিহাসিক ঘটনারূপে গ্রহণ করিতে প্রস্তুত। ১৩০৬ বঙ্গাব্দে ৺ব্যোমকেশ মুস্তফী মহাশয় বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদে “আদিশূর ও জয়ন্ত” নামক একটি প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন[৩]। ইহাতে তিনি গৌড়াধিপ আদিশূর ও গৌড়রাজ জয়ন্তের একত্ব প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। এই প্রবন্ধটি কোন পত্রিকায় অথবা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় নাই। মুস্তফী মহাশয় জানাইয়াছিলেন যে, ইহা “বিশ্বকোষের” জন্য লিখিত হইয়াছিল। ১৩০৫ বঙ্গাব্দে শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু বলিয়াছিলেন:—
- ↑ But the romantic tale of his visit incognito in the capital of Paundravardhana in Bengal, the modern Rajshahi District, then the seat of Government, of a King named Jayanta, unknown to sober history, seems to be purely imaginary.—V. A. Smith, Early History of India, 3rd edition, pp. 375-376.
- ↑ “যতদিন না সমসাময়িক লিপিতে বা সাহিত্যে জয়ন্তের নামোল্লেখ দৃষ্ট হয়, ততদিন জয়ন্ত প্রকৃত ঐতিহাসিক ব্যক্তি, কিম্বা জয়াপীড়ের অজ্ঞাতবাস উপন্যাসের উপনায়ক মাত্র, তাহা বলা কঠিন।”—গৌড়রাজমালা, পৃঃ ১৮।
- ↑ বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদ্ পত্রিকা, ষষ্ঠভাগ,—কার্য্যবিবরণ, পৃঃ ৷৹।
tain the exact elements of historic truth underlying Kalhana’s romantic story.........The King’s wanderings during his exile seem to have taken him to Bengal, and to have subsequently been embellished by popular imagination.—Chronicles of the Kings of Kashmir, Vol. I, p. 94.
