“কুলাচার্য্য গ্রন্থে আদিশূর ‘পঞ্চগৌড়াধিপ’ এই মহোচ্চ উপাধিতে বিভূষিত হইয়াছেন। ধর্ম্মপালের পরে এখানে জয়ন্ত ব্যতীত আর কোনও হিন্দু রাজাকে ঐরূপ উচ্চ সম্মানে অলঙ্কৃত দেখি না। ইত্যাদি কারণে সহজেই বোধ হইতেছে, গৌড়াধিপ জয়ন্ত জামাতা কর্ত্তৃক পঞ্চগৌড়ের অধীশ্বর হইলে ‘আদিশূর’ উপাধি গ্রহণ করেন।”[১]
মহারাজ আদিশূর বঙ্গদেশে কান্যকুব্জ হইতে পঞ্চজন সাগ্নিক ব্রাহ্মণ আনয়ন করিয়াছিলেন এবং এই পঞ্চ ব্রাহ্মণ ৬৫৪ শকাব্দে বঙ্গদেশে আগমন করিয়াছিলেন; কুলশাস্ত্রে এই প্রমাণের বলে মহারাজ আদিশূরকে ধর্ম্মপালের পূর্ব্ববর্ত্তী লোক মনে করিয়া বসুজ মহাশয় পূর্ব্বোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলেন। বঙ্গের জাতীয় ইতিহাসের অন্য এক স্থানে বসুজ মহাশয় আদিশূর ও জয়ন্তের একত্ব সম্বন্ধে কুলশাস্ত্রোদ্ধৃত একটি প্রমাণের উল্লেখ করিয়াছেন। ব্রাহ্মণডাঙ্গা নিবাসী ৺বংশী বিদ্যারত্ন ঘটকের সংগৃহীত কুলপঞ্জিকায় তিনি নিম্নলিখিত শ্লোকটি আবিষ্কার করিয়াছিলেন:—
ভূশূরেণ চ রাজ্ঞাপি শ্রীজয়ন্তসুতেন চ।
নাম্নাপি দেশভেদৈস্তু রাঢ়ী-বারেন্দ্র-সাতশতী।
এই শ্লোকের টীকায় বসুজ মহাশয় লিখিয়াছেন:—
“আদিশূর সুতেন চ—এইরূপ পাঠান্তর লক্ষিত হয়।”[২]
৺বংশী বিদ্যারত্ন কর্ত্তৃক সংগৃহীত কুলপঞ্জিকায় প্রাপ্ত পূর্ব্বোক্ত শ্লোক এবং তাহার পাঠান্তর অবলম্বন করিয়া বসুজ মহাশয় ও বঙ্গভাষার অন্যান্য বহু লেখক, আদিশূর ও জয়ন্ত একই ব্যক্তি ছিলেন, ইহা লিপিবদ্ধ