এরূপ বহুসংখ্যক কুলগ্রন্থ আমি আর কোথাও দেখি নাই। বৃদ্ধা যক্ষের ধনের ন্যায় সেগুলি রক্ষা করিতেছিলেন, মূল গ্রন্থগুলি কুলগ্রন্থগুলি গৃহের বাহির করিবার কাহারও শক্তি ছিল না। বহুকষ্টে কয়েকখানি কুলগ্রন্থ স্বহস্তে নকল করিয়া আনিয়াছি। মূল গ্রন্থগুলি সেই গৃহেই রক্ষিত আছে। তন্মধ্যে ‘রাঢ়ীয় কুলমঞ্জরী’ নামক প্রায় দুইশত বর্ষের হস্তলিখিত পুঁথিতে শ্রেণীবিভাগ প্রসঙ্গে বর্ণিত হইয়াছে:—
“ভূশূরেণ চ রাজ্ঞাপি শ্রীজয়ন্তসুতেন চ।
নাম্নাপি দেশভেদৈস্তু রাঢ়ী-বারেন্দ্র-সাতশতী॥”
এতদ্ভিন্ন উক্ত ঘটক মহাশয়ের সংগৃহীত ‘রাঢ়ীয় কুলপঞ্জী’ নামক একখানি পুঁথিতে ‘ভূশূরেণ চ রাজ্ঞাপি আদিশূর সুতেন চ’ এইরূপ পাঠ দেখিয়াছি, ইহাই পাঠান্তর বলিয়া গ্রহণ করিয়াছি।”[১]
বসুজ মহাশয়ের পূর্ব্বোল্লিখিত উক্তি হইতে প্রমাণিত হইতেছে যে, ৺বংশীবদন বিদ্যারত্ন ঘটক সংগৃহীত “রাঢ়ীয় কুলমঞ্জরী” নামক গ্রন্থে জয়ন্তের সহিত শূরবংশের সম্বন্ধজ্ঞাপক শ্লোকটি বসুজ মহাশয় দেখিতে পাইয়াছিলেন। শ্লোকের দ্বিতীয় চরণের পাঠান্তর ৺বংশী বিদ্যারত্নের গৃহে “রাঢ়ীয় কুলপঞ্জী” নামক অপর একখানি কুলগ্রন্থে আবিষ্কৃত হইয়াছিল।
সম্প্রতি বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতির সহকারী পুস্তক-রক্ষক শ্রীযুক্ত পুরন্দর কাব্যতীর্থ মহাশয়, অনুসন্ধান-সমিতির কর্ত্তৃপক্ষগণের আদেশে ব্রাহ্মণডাঙ্গায় গমন করিয়াছিলেন। তিনি ৺বংশীবদন বিদ্যারত্নের পৌত্র শ্রীযুক্ত মণিমোহন ঘটকের সাহায্যে, বিদ্যারত্ন ঘটকের গৃহে তিন “বাণ্ডিল”
- ↑ বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস, (রাজন্যকাণ্ড, কায়স্থকাণ্ডের প্রথমাংশ), পৃঃ ৯৯-১০০ পাদটীকা।