কুলশাস্ত্রগ্রন্থ পরীক্ষা করিয়াছেন। বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতির সম্পাদক কর্ত্তৃক লিপিবদ্ধ মন্তব্য পাঠ করিলে বোধ হয় যে, কাব্যতীর্থ মহাশয় ৺বংশীবদন বিদ্যারত্নের গৃহে “রাঢ়ীয় কুলমঞ্জরী” নামক কোন গ্রন্থ দেখিতে পান নাই। তিনি ঐস্থানে মিশ্রকৃত “রাঢ়ীয় কুলপঞ্জী” নামক কুলগ্রন্থ দেখিতে পাইয়াছিলেন। এই গ্রন্থখানির পত্রসংখ্যা ৪৩০, ইহা জীর্ণ ও কীটদষ্ট; তদ্ভিন্ন কোনও ঐতিহাসিক কথা এই গ্রন্থে নাই[১] শ্রীযুক্ত পুরন্দর কাব্যতীর্থ মহাশয় বিদ্যারত্ন ঘটকের গৃহে ধ্রুবানন্দ মিশ্র প্রণীত দুইখানি “মহাবংশাবলী” দেখিতে পাইয়াছিলেন। ইহার একখানি গ্রন্থের মধ্যে “কুলদোষ” নামক একখানি নূতন কুল গ্রন্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে। শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ অনুমান করেন যে, এই “কুলদোষ” গ্রন্থই শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু প্রণীত “বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস” ব্রাহ্মণকাণ্ডে বংশী বিদ্যারত্ন সংগৃহীত “কুলপঞ্জিকা” বা “কুলকারিকা,” এবং রাজন্যকাণ্ডে “রাঢ়ীয় কুলমঞ্জরী” নামে অভিহিত; কারণ:—
(১) “ব্রাহ্মণকাণ্ডের” ১১৭ পৃষ্ঠার পাদটীকায় বিদ্যারত্ন সংগৃহীত কুলপঞ্জিকা হইতে উদ্ধৃত হইয়াছে—
ক্ষিতিশূরেণ রাজ্ঞাপি ভূশূরস্য সুতেন চ।
ক্রিয়ন্তে গাঞিসংজ্ঞানি তেষাং স্থানবিনির্ণয়াৎ॥
“কুলদোষ” গ্রন্থের ২খ পত্রে এই বচন, বানান ভুল ছাড়িয়া দিলে, অবিকল দৃষ্ট হয়।
(২) এই গ্রন্থে বসু মহাশয়ের উল্লিখিত সপ্তশতী ২৮ গাঞিরও নাম প্রদত্ত হইয়াছে।
- ↑ মানসী, মাঘ ১৩২১। উপরিলিখিত বৃত্তান্ত শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ লিখিত ‘আদিশূর’ নামক প্রবন্ধ হইতে সঙ্কলিত হইল।