পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
বাঙ্গালার ইতিহাস।

 (৩) “বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস” ব্রাহ্মণকাণ্ডে নিম্নলিখিত শ্লোকদ্বয় ১৮৬ পৃষ্ঠার পাদটীকায় উদ্ধৃত হইয়াছে:—

কামরূপে মহাপীঠে সর্ব্বসিদ্ধি প্রদায়কে।
তত্রগত্বা প্রযত্নেন দেবীবর বিশারদঃ॥
দ্বিখবেদেন্দুশাকে চ মেষে মার্ত্তণ্ডমাগতে।
ক্রিয়তে বাক্যসিদ্ধির্বা রাঢ়ী দ্বিজ কুলোপরি॥

এই শ্লোকদ্বয় “কুলদোষ” গ্রন্থে ৩ (খ) পৃষ্ঠায় দেখিতে পাওয়া যায়।

 (৪) ব্রাহ্মণকাণ্ডে ১৮৭ পৃষ্ঠায় তৃতীয় পাদটীকায় উদ্ধৃত ধ্রুবানন্দ মিশ্রের সময়জ্ঞাপক শ্লোকটিও “কুলদোষের” ৩ (খ) পৃষ্ঠায় দেখিতে পাওয়া যায়।

 (৫) বসুজ মহাশয় “বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস” রাজন্যকাণ্ডে শূরবংশের সপ্ত নরপতির নাম-সম্বলিত যে শ্লোক উদ্ধৃত করিয়াছেন, তাহাও “কুলদোষে”র তৃতীয় পৃষ্ঠায় দেখিতে পাওয়া যায়।

 “কুলদোষ” গ্রন্থে আদিশূরের কালজ্ঞাপক ও বঙ্গে সাগ্নিক ব্রাহ্মণ-আগমনের কালজ্ঞাপক শ্লোকটি দেখিতে পাওয়া যায় না। এই শ্লোকের পরিবর্ত্তে ২ (ক) পৃষ্ঠায় নিম্নলিখিত শ্লোকটি দেখিতে পাওয়া যায়:—

ক্ষত্রিয় বংশে সমুৎপন্নো মাধবো কুলসম্ভবঃ।
বসু ধর্ম্মাষ্টকে শাকে নৃপ (বো) ভু (ভূ) চ্চাদিশূরকঃ[]

 যখন ৺বংশীবিদ্যারত্ন ঘটকের গৃহে “কুলমঞ্জরী” নামক গ্রন্থ খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই, তখন ইহার অস্তিত্ব সম্বন্ধে অনেকেরই সন্দেহ হইতে পারে এবং এই গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত বচন প্রমাণরূপে গ্রাহ্য হইতে পারে না। বিদ্যারত্ন ঘটকের গৃহে “কুলপঞ্জী” নামক একখানি গ্রন্থ আছে, কিন্তু তাহাতে “আদিশূর সুতেন চ” এই পাঠান্তর অথবা কোন ঐতিহাসিক কথা নাই। “কুলদোষ” নামক নূতন গ্রন্থে অনেক ঐতিহাসিক

  1. মানসী, মাঘ ১৩২১, পৃঃ ৬৮১।