গোবিন্দ প্রভূতবর্ষের বহু তাম্রশাসনে দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাঁহার পিতা ধ্রুবধারাবর্ষ অনায়াস-স্বীকৃতা গৌড়রাজ-লক্ষ্মীর অধিকারে উন্মত্ত বৎসরাজকে দুর্গম মরুপ্রদেশের কেন্দ্রে পলায়ন করিতে বাধ্য করিয়া তাঁহার নিকট হইতে তাঁহার দিগন্তবিস্তৃত যশঃ ও গৌড়ীয় শরদিন্দুপাদধবল রাজচ্ছত্রদ্বয় হরণ করিয়াছিলেন[১]। বৎসরাজ বোধ হয়, গৌড় ও বঙ্গ, এই উভয় প্রদেশই অধিকার করিয়াছিলেন এবং প্রত্যেক প্রদেশের রাজচ্ছত্র গ্রহণ করিয়াছিলেন। বৎসরাজের পুত্র দ্বিতীয় নাগভট ধ্রুবের পুত্র তৃতীয় গোবিন্দ কর্ত্তৃক পরাজিত হইলে, গোবিন্দের ভ্রাতুষ্পুত্র কর্ক গুর্জ্জর-রাষ্ট্রের দ্বারে অর্গলস্বরূপ হইয়া তাঁহাকে তাঁহার অধিকারমধ্যে আবদ্ধ রাখিয়াছিলেন। বরোদায় আবিষ্কৃত কর্করাজের তাম্রশাসনে কথিত আছে যে, গুর্জ্জরপতি গৌড়-বঙ্গেশ্বরকে পরাজিত করিয়া মালবরাজকে আক্রমণ করিলে, তাঁহার স্বামীর (অর্থাৎ তৃতীয় গোবিন্দের) আদেশানুসারে কর্করাজ গুর্জ্জরেশ্বরকে তাঁহার স্বীয় অধিকারের সীমামধ্যে অবস্থান করিতে বাধ্য করিয়াছিলেন। এইস্থানে গৌড় ও বঙ্গের একত্র উল্লেখ দেখিয়া অনুমান হয় যে, বৎসরাজ কর্ত্তৃক জিত শ্বেতচ্ছত্রদ্বয়ের একটি গৌড়ের রাজচ্ছত্র, অপরটি বঙ্গদেশের[২]।
- ↑
হেলাস্বীকৃতগৌড়রাজ্যকমলামত্তম্ প্রবেশ্যাচিরা-
দ্দুর্মার্গং মরুমধ্যমপ্রতিবলৈ র্যো বৎসরাজং বলৈঃ।
গৌড়ীয়ং শরদিন্দুপাদধবলং ছত্রদ্বয়ং কেবলং
তস্মান্নাহৃত তদ্যশোপি ককুভাং প্রান্তে স্থিতং তৎক্ষণাৎ॥
Wani grant—Indian Antiquary, Vol XI, p. 157;
Radhanpur grant—Epigraphia Indica, Vol. VI, p. 243.
- ↑
গৌড়েন্দ্রবঙ্গপতিনির্জ্জয়দুর্ব্বিদগ্ধসদ্গুর্জ্জরেশ্বরদিগর্গলতাং চ যস্য।
নীত্বা ভুজং বিহিতমালবরক্ষণার্থং স্বামী তথান্যমপি রাজ্যফলানি ভুংক্তে॥
Baroda grant of Karkaraja—Indian Antiquary, Vol. XII, p. 160.