উত্তরাপথে অবস্থান করেন নাই। তিনি বোধ হয়, দিগ্বিজয় শেষ করিয়া রাজধানী মান্যখেতে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়াছিলেন এবং উত্তরাপথের নরপতিগণ পুনর্ব্বার স্বাধিকার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন।
বিদেশীয় রাজগণ কর্ত্তৃক বারংবার আক্রান্ত হইয়া গৌড়ীয় প্রজাবৃন্দ অতিশয় বিপন্ন হইয়া পড়িয়াছিল। এতদ্ব্যতীত মগধের গুপ্তবংশীয় দ্বিতীয় জীবিতগুপ্তের মৃত্যুর পরে কোন রাজা বোধ হয়, গৌড়-মগধ-বঙ্গে স্বীয় অধিকার দৃঢ়ভিত্তির উপরে স্থাপন করিতে পারেন নাই এবং ক্ষুদ্র ক্ষুত্র ভূস্বামিগণ সতত যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত থাকিতেন। ফলে, খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে উত্তরাপথের প্রাচ্যখণ্ডে ঘোরতর অরাজকতা উপস্থিত হইয়াছিল। অরাজকতার প্রাচীন নাম “মাৎস্যন্যায়।” খালিমপুরে আবিষ্কৃত ধর্ম্মপালদেবের তাম্রশাসনে দেখিতে পাওয়া বায় যে, প্রকৃতিপুঞ্জ মাৎস্যন্যায় দূর করিবার জন্য বপ্যট নামক রণকুশল ব্যক্তির পুত্র গোপালদেবকে রাজা নির্ব্বাচিত করিয়াছিল। গোপালদেব পালবংশের প্রথম রাজা এবং তাঁহার রাজ্যকাল হইতেই গৌড়, মগধ ও বঙ্গের পাল-সাম্রাজ্যের ইতিহাস আরদ্ধ হইয়াছে।