অসৌ তত্র মহীপালো মালত্যাং নামতঃ স্ত্রিয়াং।
আত্মজং জনয়ামাস নাম্না * কর্ণসেনকং॥
আসীৎ স এব রাজা চ তত্র পুর্য্যাং মহামতিঃ।
কন্যা তস্য বিলোলাচ পূর্ণচন্দ্রসমদ্যুতিঃ॥
শ্রিয়াং তস্যাং হি দ্বৌ পুত্রৌ মল্ল-শ্যামলবর্ম্মকৌ।
সা এব জনয়ামাস ক্ষৌণী-রক্ষকরা বুভৌ॥
মল্লস্তত্রৈব প্রথিতঃ শ্যামলোঽত্র সমাগতঃ।
জেতুং শত্রুগণান্ সর্ব্বান্ গৌড়দেশনিবাসিনঃ॥
বিজিত্য রিপুশার্দ্দূলং বঙ্গদেশনিবাসিনঃ।
রাজাসীৎ পরমধর্ম্মজ্ঞো নাম্না শ্যামলবর্ম্মকঃ॥
জিত্বা সর্ব্বমহীপতিং ভুজবলৈঃ পঞ্চাস্যতুল্যো বলী।
শ্রীমদ্বিক্রমপুরনামনগরে রাজাভবন্নিশ্চিতং॥
—ভারতবর্ষ, ১ম বর্ষ, পৃঃ ৩১।
তুলনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, ঈশ্বর বৈদিকের কুলপঞ্জিকার দ্বিতীয় পুথিতে “কাশীপুর” স্থানে “দেশে কাশী,” “স্বর্ণরেখা নদী” স্থানে “স্বর্ণরেখা পুরী,” “বিজয়সেনকং” স্থানে “কর্ণসেনকং,” “পত্নী তস্য বিলোলা” স্থানে “কন্যা তস্য বিলোলা,” “স্ত্রিয়াং” স্থানে “শ্রিয়াং” পরিবর্ত্তিত হইয়াছে। এই সকল পরিবর্ত্তন সমেত দ্বিতীয় পুথিখানি বেলাবো তাম্রশাসন আবিষ্কারের অল্পদিন পরেই বসুজ মহাশয়ের হস্তগত হইয়াছিল। বেলাবো তাম্রশাসনে শ্যামলবর্ম্মার মাতামহ চেদিরাজ কর্ণদেবের নাম আছে, সুতরাং উক্ত তাম্রশাসন আবিষ্কারের পরে ঈশ্বর বৈদিককৃত দ্বিতীয় পুথি আবিষ্কার হওয়ায় সন্দেহ হইতেছে যে, কোন দুষ্ট ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্ব্বক কতকগুলি কুলশাস্ত্র রচনা করিয়া বারংবার বসুজ মহাশয়কে প্রতারিত করিয়াছে। অল্পদিন পূর্ব্বে মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়াছেন যে, সন্ধ্যাকরনন্দী-রচিত “রামচরিত” প্রকাশিত হইবার পরেই তাহার পূর্বপুরুষগণের নামাবলী আবিষ্কৃত হইল, কিন্তু তাহার পূর্ব্বে কেহ সন্ধ্যাকরনন্দীর বংশ-পরিচয় দিতে পারিলেন না, ইহা অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয়।
(৩) বিজয়সেনের তাম্রশাসন—কয়েক বৎসর পূর্ব্বে জনৈক ভদ্রলোক আমার