লক্ষ্মীপ্রাদুর্ভাবাৎ উন্মুদ্রিতলক্ষ্মীকঃ। মহাক্ষয়ে মহাপ্রলয়ে লোকাহরণং কৃত্বা লোকান্ কুক্ষৌ নিক্ষিপ্য যং সমুদ্রং বিধু র্বাসুদেবো বিশতি[১]॥৩॥”
ইহার পরের শ্লোকে দেখিতে পাওয়া যায় যে, সেই সমুদ্রের বংশে রাজা ধর্ম্মপাল জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন;—
“তৎকুলদীপো নৃপতিরভূ [ৎ] ধর্ম্মো ধামবানিবেক্ষ্বাকুঃ।
যস্যাব্ধিং তীর্ণাগ্রাবনৌ ররাজাপি কীর্ত্তিরবদাতা॥
—রামচরিত, প্রথম পরিচ্ছেদ, ৪র্থ শ্লোক।
অন্যত্র সমুদ্রকুলদীপো ধর্ম্মঃ ধর্ম্মনামা ধর্ম্মপাল ইতি যাবৎ। নৃপতিরভূৎ। একদেশেন সমুদায়ঃ, যথা ভীমো ভীমসেন ইতি। ধামবান্ তেজস্বী ইব যথা ইক্ষ্বাকুঃ কটুতুম্বী উৎপ্লবতে, তথা যস্য গ্রাবনৌঃ শিলানৌকা, অব্ধিং তীর্ণা সমুদ্রপ্রাসাদাদন্তরীক্ষমিব তীর্ণবতী ররাজ, অপি শব্দাৎ কীর্ত্তিরপি সমুদ্রং তীর্ণা ররাজ॥৪।”
ঘনরামের ধর্ম্মমঙ্গলে সমুদ্র হইতে পালরাজবংশের উৎপত্তির কিঞ্চিৎ আভাষ দেখিতে পাওয়া যায়। ধর্ম্মপালদেবের পুত্র দেবপালদেবের মুঙ্গেরে আবিষ্কৃত তাম্রশাসনে দেখিতে পাওয়া যায় যে, ধর্ম্মপালের পত্নীর নাম রণ্ণাদেবী[২]; কিন্তু ঘনরামের ধর্ম্মমঙ্গলানুসারে তাঁহার পত্নীর নাম বল্লভা[৩]। ঘনরামের ধর্ম্মমঙ্গলানুসারে ধর্ম্মপাল অপুত্রক। নির্ব্বাসিতা বল্লভার গর্ভে সমুদ্রের ঔরসে এক পুত্র উৎপন্ন হইয়াছিল, ঘনরাম গ্রন্থমধ্যে তাঁহার নাম উল্লেখ করেন নাই[৪]। ঘনরামের ধর্ম্মমঙ্গলের এই