উক্তির এই অংশমাত্র গ্রহণ করা যাইতে পারে যে, গোপালদেবের পূর্ব্বে ভূতপূর্ব্ব রাজপত্নীর অত্যাচারে দেশে অরাজকতা উপস্থিত হইয়াছিল। তারানাথ লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন যে, গোপালদেব প্রথমে বঙ্গদেশের রাজ্য এবং পরে মগধরাজ্য লাভ করিয়াছিলেন। সন্ধ্যাকরনন্দীর রামচরিতে এবং বৈদ্যদেবের কমৌলী তাম্রশাসনে দেখিতে পাওয়া যায় যে, রামপাল ভীমনামক কৈবর্ত্তরাজকে পরাজিত ও নিহত করিয়া পিতৃভূমি বরেন্দ্রী উদ্ধার করিয়াছিলেন। সন্ধ্যাকরনন্দীর রামচরিতে দুইস্থানে রামপালের পিতৃভূমির কথা আছে:—
১। মাংসভুজোচ্চৈর্দশকেন জনকভূর্দস্যুনোপধিব্রতিনা।
দিব্যাহ্বয়েন সীতা বাসালংকৃতির (রা)হারি কান্তাস্য॥[১]
২। ইতি কৃত্বাজ্ঞামাগত্য চিতাং(তাতা)ভূমিং স জানকীং নিজভর্ত্ত্রে।
অক্ষান্তকরঃ প্রথিতাভিজ্ঞোঽচকথন্মিথস্তথাভূতাং দশাং॥
প্রথম শ্লোকে রামপালপক্ষে টীকায় দেখিতে পাওয়া যায় যে, এই পিতৃভূমি বরেন্দ্রী বা বরেন্দ্রভূমি[২]। বৈদ্যদেবের তাম্রশাসনেও কথিত হইয়াছে যে, “রামচন্দ্র যেমন অর্ণব লঙ্ঘন করিয়া, রাবণ বধান্তে জনকনন্দিনী লাভ করিয়াছিলেন; রামপালদেবও [যথাবৎ] সেইরূপ যুদ্ধার্ণব সমুত্তীর্ণ হইয়া, ভীম নামক ক্ষৌণীনায়কের বধসাধন করিয়া, জনকভূমি [বরেন্দ্রী] লাভে, ত্রিজগতে [শ্রীরামচন্দ্রের ন্যায়] আত্মযশঃ বিস্তৃত