৭৩৬ শকাব্দে তৃতীয় গোবিন্দের দেহান্ত হইয়াছিল; কারণ, ৭৩৬ শকাব্দ (৮১৫ খৃষ্টাব্দ) তৃতীয় গোবিন্দের পুত্র প্রথম অমোঘবর্ষের রাজ্যের প্রথম বৎসর। বোম্বাই প্রদেশে ধারবাড জেলায় সিরুর গ্রামে আবিষ্কৃত একখানি শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, ৭৮৮ শকাব্দ অমোঘবর্ষের রাজ্যের দ্বিপঞ্চাশত্তম বর্ষ গণিত হইত[১]। সুতরাং ইহা প্রমাণ হইতেছে যে, ৭৯৪ হইতে ৮১৪ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত তৃতীয় গোবিন্দ জীবিত ছিলেন। অতএব ধর্ম্মপাল খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর শেষপাদে জীবিত ছিলেন এবং ৮১৪ খৃষ্টাব্দের বহু পূর্ব্বে ইন্দ্রায়ুধকে পরাজিত করিয়া চক্রায়ুধকে মহোদয় বা কান্যকুব্জের সিংহাসন প্রদান করিয়াছিলেন এবং গুর্জ্জরবংশীয় দ্বিতীয় নাগভট কর্ত্তৃক পরাজিত হইয়া দিগ্বিজয়ী তৃতীয় গোবিন্দের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন। ইহা সত্ত্বেও কেহ কেহ অনুমান করিয়া থাকেন যে, ধর্ম্মপাল ৮১৫ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ বলিয়াছেন,—“অনেকে মনে করেন যে, ৮১৭ খৃষ্টাব্দের ২৩ বৎসর পূর্ব্বে, তৃতীয় গোবিন্দ পরলোকগমন করিয়াছিলেন এবং অমোঘবর্ষ পিতৃরাজ্য লাভ করিয়াছিলেন। কিন্তু যাঁহার রাজত্ব সুদীর্ঘ ৬১ বৎসরকাল স্থায়ী হওয়ার বিশিষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান আছে, তাঁহার রাজ্যাভিষেক-কাল আরও পিছাইয়া ধরিয়া, ৬১ বৎসরেরও অধিক কালব্যাপী রাজত্ব কল্পনা অসঙ্গত”[২]। যিনি বলিয়াছেন যে, প্রথম অমোঘবর্ষ ৮১৭ হইতে ৮৭৭ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছিলেন, তিনি প্রত্নবিদ্যাবিদ্গণের শ্রেষ্ঠ; তাঁহার নাম ডাঃ ফ্রাঞ্জ কীলহর্ণ (Dr. Franz Kielhorn)। তিনি কখনও উপযুক্ত বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ না পাইলে কোন
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
১৮৫