কথা লিপিবদ্ধ করিতেন না। সিরুর ও নীলগুণ্ড[১] এই দুইটি স্থানের দুইখানি শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, ৭৮৭ শকাব্দে (৮৬৬ খৃঃ অঃ) প্রথম অমোঘবর্ষের ৫২ রাজ্যাঙ্ক পতিত হইয়াছিল। অতএব ইহা নিশ্চয় যে, ৭৩৬ শকাব্দে (৮১৪-১৫ খৃঃ অঃ) প্রথম অমোঘবর্ষ সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। ডাঃ কীলহর্ণ শকাব্দের অতীতবর্ষ ও প্রচলিত বর্ষ গণনা করিয়া স্থির করিয়াছিলেন যে, ৮১৭ খৃষ্টাব্দের পরে প্রথম অমোঘবর্ষের প্রথম রাজ্যাঙ্ক পতিত হইতে পারে না; কিন্তু তাহার পূর্ব্বে দুই বৎসরের মধ্যে অর্থাৎ ৮১৫ অথবা ৮১৬ খৃষ্টাব্দে পতিত হইতে পারে[২]। সুতরাং তাঁহার অনুমান বা তারিখ-নির্দ্ধারণ অসঙ্গত বলা ন্যায়সঙ্গত কার্য্য হয় নাই। তোরখেডে গ্রামে আবিষ্কৃত তৃতীয় গোবিন্দের তাম্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায় যে, তিনি ৮১৩ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে জীবিত ছিলেন[৩]। সিরুর ও নীলগুণ্ডের শিলালিপিদ্বয় হইতে অবগত হওয়া যায় যে, তৃতীয় গোবিন্দের পুত্র প্রথম অমোঘবর্ষ ৮১৫ হইতে ৮১৭ খৃষ্টাব্দের মধ্যে কোন সময়ে সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন; ইহা সত্ত্বেও শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ অনুমান করিয়াছেন যে, ধর্ম্মপালদেব ৮১৫ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনারোহণ করিয়াছিলেন[৪]। সুতরাং গৌড়রাজমালায় ধর্ম্মপালদেবের সিংহাসনারোহণকাল সম্বন্ধে যাহা উক্ত হইয়াছে, তাহা বিশ্বাসযোগ্য নহে।
তৃতীয় গোবিন্দের তাম্রশাসনসমূহ পরীক্ষা করিলে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায় যে, ৭৩০ শকাব্দের শ্রাবণ মাসের অমাবস্যার পূর্ব্বে তৎকর্ত্তৃক