পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
১৯৫

শাসন-সংস্থিত দশদিক্ শত্রু-পতাকিনীশূন্য করিয়াছিলেন[১]।” ধর্ম্মপালদেব রাষ্ট্রকূটবংশীয় পরবলের কন্যা রণ্ণাদেবীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন[২]। মধ্যভারতে পথারি নামক স্থানে পরবলের একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, পরবলের পিতার নাম কক্করাজ এবং তাঁহার পিতামহের নাম জেজ্জ। জেজ্জের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সহস্র সহস্র কর্ণাট-সৈন্যকে পরাজিত করিয়া লাট বা গুজরাট দেশ অধিকার করিয়াছিলেন। কক্করাজ নাগাবলোক নামক জনৈক রাজাকে পরাজিত করিয়া তাঁহার রাজ্য ধ্বংস করিয়াছিলেন। এই খোদিতলিপি পরবলের রাজ্যকালে, ৯১৭ বিক্রমাব্দে (৮৬১ খৃষ্টাব্দে) উৎকীর্ণ হইয়াছিল[৩]। ধর্ম্মপাল খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীর প্রথম ভাগে সিংহাসনে আসীন ছিলেন এবং পরবল নবম শতাব্দীর তৃতীয় পাদেও জীবিত ছিলেন। ইহা দেখিয়া শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ অনুমান করিয়াছেন যে, ধর্ম্মপাল “সম্ভবতঃ প্রৌঢ়াবস্থায় রণ্ণাদেবীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন[৪]। ৮১৩ বিক্রমাব্দে (৭৫৬ খৃষ্টাব্দে) নাগাবলোক জীবিত ছিলেন। কারণ, উক্ত বর্ষে চাহমান-(চৌহান) বংশীয় জনৈক মহাসামন্তাধিপতি কর্ত্তৃক শ্রীনাগাবলোকের প্রবর্দ্ধমান বিজয়রাজ্যে সম্পাদিত একখানি তাম্রশাসন, আজমীর চিত্রশালার অধ্যক্ষ রায় বাহাদুর পণ্ডিত

  1. রামস্যেব গৃহীত-সত্যতপসস্তস্যানুরূপো গুণৈঃ
    সৌমিত্রেরূদপাদি তুল্য-মহিমা বাক্‌পালনামানুজঃ।
    যঃ শ্রীমান্নয়-বিক্রমৈক-বসতির্ভ্রাতুঃ স্থিতঃ শাসনে
    শূন্যাঃ শত্রু-পতাকিনীভিরকরোদেকাতপত্রা দিশঃ॥৪॥
    —ভাগলপুরে আবিষ্কৃত নারায়ণপালের তাম্রশাসন; গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৫৭। 

  2. গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৩৬।
  3. Epigraphia Indica, Vol. IX, p. 256.
  4. গৌড়রাজমালা, পৃঃ ২৪।