পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৮
বাঙ্গালার ইতিহাস।

গৌড়ের নিকটে খালিমপুর গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, তাঁহার জ্যৈষ্ঠ পুত্রের নাম ত্রিভুবনপাল[১]। যুবরাজ ত্রিভুবনপালদেব ধর্ম্মপালের রাজ্যকালেই মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিলেন। কারণ, কনিষ্ঠ দেবপালদেব পিতার মৃত্যুর পরে গৌড়-বঙ্গের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। এইজন্যই খালিমপুরের তাম্রশাসন ব্যতীত পাল-রাজবংশের অন্য কোন তাম্রশাসনে ত্রিভুবনপালের উল্লেখ পাওয়া যায় না। ধর্ম্মপালদেবের ২৬শ রাজ্যাঙ্কে ভাস্কর উজ্জ্বলের পুত্র, কেশব নামক একব্যক্তি মহাবোধিতে তিন সহস্র (৩০০০) দ্রম্ম অর্থাৎ রৌপ্য মুদ্রা ব্যয় করিয়া একটি পুষ্করিণী খনন করাইয়াছিলেন এবং একটি চতুর্ম্মুখ মহাদেব প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[২]। তাঁহার ৩২শ রাজ্যাঙ্কে ধর্ম্মপালদেব ব্যাঘ্রতটীমণ্ডলে, মহন্তাপ্রকাশবিষয়ে অবস্থিত ক্রৌঞ্চশ্বভ্র, মাঢাসাম্মলী ও পালিতক নামক গ্রাম্যত্রয় এবং আম্রষণ্ডিকামণ্ডলে স্থালীক্কটবিষয়ে গোপিপ্পলীগ্রাম মহাসামন্তাধিপতি নারায়ণবর্ম্মার প্রার্থনাক্রমে, নারায়ণবর্ম্মা কর্তৃক শুভস্থলীতে নির্ম্মিত মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত ভগবান্ নন্ননারায়ণের এবং তাঁহার সেবক লাটদেশীয় ব্রাহ্মণগণের ব্যবহারার্থ দান করিয়াছিলেন। স্বয়ং যুবরাজ ত্রিভুবনপালদেব এই তাম্রশাসনের দূতক[৩]। এই তাম্রশাসনখানি মালদহের ভূতপূর্ব্ব ম্যাজিষ্ট্রেট ৺উমেশচন্দ্র বটব্যাল ক্রয় করিয়া আনিয়াছিলেন। শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয় বলিয়াছেন যে, ইহা কলিকাতায় এসিয়াটিক সোসাইটি কর্ত্তৃক রক্ষিত হইতেছে[৪]। কিন্তু ইহা এসিয়াটিক্ সোসাইটিতে বা অপর

  1. গৌড়লেখমালা, পৃঃ ১৬।
  2. গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৩১-৩২।
  3. গৌড়লেখমালা, পৃঃ ১৬।
  4. গৌড়লেখমালা, পৃঃ ১১।