পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
১৯৯

কোন চিত্রশালায় রক্ষিত নাই। শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ মহাশয়ের নিকট শুনিয়াছি যে, ইহা রাজশাহীতে বরেন্দ্র অনুসন্ধান-সমিতির চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। খালিমপুরের তাম্রশাসন ধর্ম্মপালদেবের ৩২শ রাজ্যাঙ্কে সম্পাদিত হইয়াছিল। তিব্বতদেশীয় ইতিহাসকার লামা তারানাথ বলেন যে, ধর্ম্মপাল চৌষট্টি (৬৪) বৎসর কাল রাজত্ব করিয়াছিলেন[১]। তারানাথ পালবংশের প্রথম নরপতিত্রয়েরই সম্বন্ধ নির্ণয় করিতে পারেন নাই, সুতরাং তাঁহার জনশ্রুতি-অবলম্বনে লিখিত ইতিহাসের কথা, সমর্থক অপর প্রমাণ আবিষ্কার না হওয়া পর্য্যন্ত ঐতিহাসিক প্রমাণরূপে গৃহীত হইতে পারে না। অনুমান হয়, ধর্ম্মপালদেব পঞ্চত্রিংশদ্বর্ষকাল গৌড়ের সিংহাসনে আসীন ছিলেন। ধর্ম্মপালদেবের রাজ্যকালে স্বর্ণরেখ নামক জনৈক ব্রাহ্মণ গৌড়েশ্বরের নিকট হইতে বরেন্দ্রভূমির করঞ্জ নামক একখানি গ্রাম শাসনস্বরূপ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। স্বর্ণরেখের উত্তরপুরুষ চতুর্ভুজ হরিচরিত নামক একখানি কাব্য রচনা করিয়াছিলেন। মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী হরিচরিত কাব্যের একখানি পুঁথি নেপালে নেপাল-রাজের গ্রন্থাগারে আবিষ্কার করিয়াছেন, এই গ্রন্থের পুষ্পিকায় স্বর্ণরেখের পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে[২]


  1. Pag-samjon Zang, p. 111.
  2. “গ্রামোত্তমোঽস্ত্যমলমঞ্জুগুণৈকপুঞ্জঃ শ্রীমান্ করঞ্জ ইতি বন্দ্যতমো বরেন্দ্র্যাম্।
    যত্র শ্রুতি-স্মৃতি-পুরাণ-পদ-প্রবীণাঃ সচ্ছাস্ত্রকাব্যনিপুণা স্ম বসন্তি বিপ্রাঃ॥
    কীর্ণঃ প্রজাপতিগুণৈঃ পরিপূর্ণকামঃ শ্রীস্বর্ণরেখ ইতি বিপ্রবরোঽবতীর্ণঃ।
    তং গ্রামমগ্রগণনীয়গুণং সমগ্রং জগ্রাহ শাসনবরং নৃপধর্ম্মপালাৎ॥”
    —Catalogue of Palmleaf & selected paper MSS., Durbar Library Nepal by Mahamahopadhyaya Haraprasad Shastri, p. 134.