পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১০
বাঙ্গালার ইতিহাস।

স্বরূপ বৌদ্ধবিহারে প্রদত্ত হইয়াছিল। সম্ভবতঃ এই পঞ্চগ্রামের মূল্য বালপুত্রদেব কর্ত্তৃক গৌড়রাজ দেবপালদেবকে প্রদত্ত হইয়াছিল, কারণ দানধর্ম্মানুসারে মূল্য প্রদত্ত না হইলে বালপুত্রদেবের মন্দির-প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণ হয় না[১]। দেবপালদেবের খুল্লতাত-পুত্র জয়পাল সম্ভবতঃ তাঁহার পিতা বাক্‌পালদেবের শ্রাদ্ধকালে শ্রাদ্ধের মহাদান উমাপতি নামক জনৈক ব্রাহ্মণকে দান করিয়াছিলেন। উমাপতির উত্তরপুরুষ নারায়ণ তদ্‌রচিত ছন্দোগপরিশিষ্টপ্রকাশ নামক গ্রন্থে এই কথা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন[২]

  1. প্রত্নতত্ত্ববিভাগের সর্ব্বাধ্যক্ষ (Director-General of Archaeology in India) স্যর জন মার্শেলের (Sir John Marshall) অনুমতি অনুসারে আমার অনুরোধে বন্ধুবর পণ্ডিত শ্রীযুক্ত হীরানন্দ শাস্ত্রী এই তাম্রশাসনের উদ্ধৃত পাঠ ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হইতে প্রকাশিত ভারতবর্ষের ইতিহাসের দ্বিতীয় ভাগ (Cambridge History of India, Voll. I) সঙ্কলনের জন্য আমাকে প্রদান করিয়াছিলেন। এই নবাবিষ্কৃত তাম্রশাসনের পাঠ অদ্যাপি প্রকাশিত হয় নাই। পণ্ডিত হীরানন্দ শাস্ত্রী ইহার পাঠ Epigraphia Indica পত্রে প্রকাশ করিবেন। শাস্ত্রী মহাশয়ের সৌজন্যে এই নবাবিষ্কৃত তাম্রশাসনের সারাংশ এই গ্রন্থের জন্য সঙ্কলিত হইল। এতদ্ব্যতীত দেবপালদেবের রাজ্যকালে প্রতিষ্ঠিত একটি মূর্ত্তি নালন্দায় আবিষ্কৃত হইয়াছে। কিন্তু খোদিত লিপির পাঠ অদ্যাপি প্রকাশিত হয় নাই।—Annual Report of the Archaeological Survey of India, Central Circle, 1920-21, pp. 37-38.
  2. তস্মাদ্‌ভূষিতসাব্ধিভূমিবলয়ঃ শিষ্যোপশিষ্যব্রজৈ-
    র্বিদ্বন্মৌলিরভূদুমাপতিরিতি প্রভাকরগ্রামণীঃ।
    ক্ষ্মাপালাজ্জয়পালতঃ স হি মহাশ্রাদ্ধং প্রভূতং মহা-
    দানং চার্থিগণার্হণার্দ্রহৃদয়ঃ প্রত্যগ্রহীৎ পুণ্যবান্॥
    —ছন্দোগপরিশিষ্ট-প্রকাশ; Eggeling’s Catalogue of Sanskrit Manuscripts in the India Office Library. White Hall, London, part I, pp. 92-93.