দেবপালদেবের একটিমাত্র পুত্রের নাম আবিষ্কৃত হইয়াছে, ইঁহার নাম রাজ্যপাল এবং ইনি পিতার রাজ্যকালে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত হইয়াছিলেন[১]। রাজ্যপাল বোধ হয়, দেবপালের জীবনকালেই মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিলেন। কারণ, দেবপালের পরে জয়পালের পুত্র প্রথম বিগ্রহপাল বা প্রথম শূরপাল গৌড়-বঙ্গ-মগধের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। দেবপালদেবের রাজ্যকালে নগরহার নগরের (বর্ত্তমান নাম নিংরাহার, ইহা আফগানিস্তানের আমীরের রাজ্যে খাইবার গিরিসঙ্কটের অনতিদূরে অবস্থিত) অধিবাসী ইন্দ্রগুপ্তের পুত্র বীরদেব মগধে আসিয়া যশোবর্ম্মপুরে দুইটি চৈত্য ও একটি বজ্রাসন প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। বীরদেব যে বজ্রাসন নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, তাহার একখণ্ড প্রস্তর পাটনা জেলার অন্তর্গত ঘোষরাঁবা গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, তিনি বেদাদি শাস্ত্রের অধ্যয়ন সমাপ্ত করিয়া, বৌদ্ধ-মতের অনুরাগী হইয়া অধ্যয়নার্থ কণিষ্কবিহারে গমন করিয়াছিলেন[২]। কণিষ্কবিহার প্রাচীন পুরুষপুর
- ↑
শ্রেয়োবিধাবুভয় [ব]ংশ-বিশুদ্ধিভাজং
রাজাকরোদধিগতাত্মগুণং গুণজ্ঞঃ।
আত্মানুরূপচরিতং স্থিরযৌবরাজ্যং
শ্রীরাজ্যপালমিহ দূতকমাত্মপুত্রং॥
—গৌড়রাজমালা, পৃঃ ৪০।
- ↑
বেদানধীত্য সকলান্ কৃতশাস্ত্রচিন্তঃ
শ্রীমৎকণিষ্কমুপগম্য মহাবিহারম্।
আচার্য্যবর্য্যমথ স প্রশম-প্রশস্যং
সর্ব্বজ্ঞশান্তিমনুগম্য তপশ্চচার॥ ৬
—গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৪৮।