প্রথম ভোজদেবের সমসাময়িক ধরিয়া লইয়া দেবপালকে প্রথম অমোঘবর্ষের পুত্র দ্বিতীয় কৃষ্ণের সমসাময়িক ব্যক্তি স্থির করিয়াছেন[১]। পূর্ব্ব-পরিচ্ছেদে দর্শিত হইয়াছে যে, ধর্ম্মপাল দ্বিতীয় নাগভটের ও তৃতীয় গোবিন্দের সমসাময়িক ব্যক্তি; সুতরাং ধর্ম্মপালের পুত্র কখনই দ্বিতীয় নাগভটের পৌত্র অথবা বৃদ্ধপ্রপৌত্র (প্রথম ভোজ পৌত্র এবং দ্বিতীয় ভোজ বৃদ্ধপ্রপৌত্র) এবং তৃতীয় গোবিন্দের পুত্রের সমসাময়িক ব্যক্তি বলা যাইতে পারে না। চন্দ মহাশয় কর্ণের তাম্রশাসন ও বিলহরির তাম্রশাসন হইতে যে দুইটি শ্লোক উদ্ধৃত করিয়াছেন, তাহা প্রথম ভোজদেবের প্রতি প্রযুক্ত হইতে পারে না[২]। দেবপালদেবের পত্নীর নাম অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই। অনুমান হয়, দেবপালদেব ৮২০ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করিয়া ৮৬০ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। তাঁহার রাজ্যের শেষভাগে প্রতীহার-রাজ রামভদ্রের পুত্র প্রথম ভোজ, মহোদয় বা কান্যকুব্জ অধিকার করিয়াছিলেন। যোধপুর রাজ্যে দৌলতপুরায় আবিষ্কৃত ৯০০ বিক্রমাব্দে সম্পাদিত একখানি তাম্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায় যে, উক্ত তাম্রশাসন মহোদয় বা কান্যকুব্জ হইতে প্রদত্ত হইয়াছিল[৩]। সুতরাং ৯০০ বিক্রমাব্দের (৮৪৩ খৃষ্টাব্দে) পূর্ব্বে কান্যকুব্জ প্রথম ভোজ কর্ত্তৃক অধিকৃত হইয়াছিল। দেবপালদেবের মৃত্যুর পরে ধর্ম্মপালের বংশে কেহ উত্তরাধিকারী না থাকায় প্রথম গোপালদেবের দ্বিতীয় পুত্র বাক্পালের পৌত্র প্রথম বিগ্রহপাল বা প্রথম শূরপাল গৌড়-বঙ্গ মগধের অধিকার লাভ করিয়াছিলেন।
দেবপালের সহিত বিগ্রহপালের সম্বন্ধ-নির্ণয় লইয়া পণ্ডিতগণের মধ্যে