প্রথম বিগ্রহপালকে অভিন্ন ব্যক্তি বলিয়াই গ্রহণ করিতে ইচ্ছা হয়। এই সিদ্ধান্ত সমীচীন বলিয়া গৃহীত হইলে, পালবংশীয় নরপালগণের প্রচলিত বংশাবলীর ভ্রম সংশোধন করিতে হইবে[১]।” মৈত্রেয় মহাশয়ের যুক্তি সমীচীন বলিয়া বোধ হয় না; কারণ, খালিমপুরে আবিষ্কৃত ধর্ম্মপালের তাম্রশাসনে যুবরাজ ত্রিভুবনপালের নাম দেখিতে পাওয়া যায়[২]। কিন্তু প্রশস্তিমধ্যে অথবা অপর কোনও খোদিতলিপিতে ধর্ম্মপালের জীবিতকালে ত্রিভুবনপালের মৃত্যুর কথা উল্লিখিত নাই। ইহা হইতে কি প্রমাণ হইবে যে, ত্রিভুবনপাল ও দেবপাল অভিন্ন ব্যক্তি? রামপালচরিতে প্রথম পরিচ্ছেদে ২৩শ শ্লোকের টীকায় রামপালের পুত্র রাজ্যপালের উল্লেখ আছে[৩]; কিন্তু মনহলিতে আবিষ্কৃত মদনপালদেবের তাম্রশাসনে রাজ্যপালের নাম নাই[৪]। ইহা হইতে কি প্রমাণ হইবে যে, রাজ্যপাল, কুমারপাল বা মদনপালের নামান্তর? প্রথম বিগ্রহপাল এবং প্রথম শূরপালের একত্বের প্রমাণ অন্যবিধ। নারায়ণপাল, প্রথম মহীপাল, তৃতীয় বিগ্রহপাল ও মদনপালের তাম্রশাসনে নারায়ণপালের পিতার নাম বিগ্রহপাল[৫], কিন্তু ভট্টগুরুবমিশ্রের গরুড়-স্তম্ভলিপিতে দেরপালদেবের পরে ও নারায়ণপালদেবের পূর্ব্বে শূরপালের নাম উল্লিখিত আছে[৬]। ইহা হইতে প্রমাণ হইতেছে যে, শূরপাল প্রথম বিগ্রহপালের নামান্তর। শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু প্রথম বিগ্রহপালকে ডাঃ
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম পরিচ্ছেদ।
২১৭