পাল যে জয়পালের পুত্র, বাক্পালের পৌত্র এবং তাঁহার নামান্তর যে শূরপাল, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই।
প্রথম বিগ্রহপালদেব যে সময়ে গৌড়-বঙ্গ-মগধের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন, সে সময়ে গুর্জ্জরজাতি প্রথম ভোজদেবের অধীনে উত্তরাপথ-জয়ে ব্যাপৃত। ভোজদেব মিহির, আদিবরাহ, প্রভাস প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রাচীন খোদিত-লিপিমালায় পরিচিত। তিনি পঞ্চাশৎবর্ষের অধিক কাল কান্যকুব্জের সিংহাসনে আসীন ছিলেন। ৮৪৩ খৃষ্টাব্দের পূর্ব্বেই কান্যকুব্জ তাঁহার হস্তগত হইয়াছিল। কারণ, উক্ত বর্ষে তিনি একখানি তাম্রশাসন দ্বারা ‘গুর্জ্জরত্রাভূমিতে’ একখানি গ্রাম জনৈক ব্রাহ্মণকে দান করিয়াছিলেন[১]। ৯৩২ বিক্রমাব্দে (৮৭৫ খৃঃ অঃ) ভোজদেব কর্ত্তৃক নিযুক্ত গোপাদ্রির (Gwalior) শাসনকর্ত্তা অল্ল একটি মন্দির নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন[২]। ২৭৬ শ্রীহর্ষাব্দে (৮৯২ খৃঃ অঃ) পঞ্চনদ প্রদেশের প্রাচীন পৃথূদক (বর্ত্তমান পেহোবা) নগরও ভোজদেবের রাজ্যভুক্ত ছিল[৩]। প্রাচীন সৌরাষ্ট্রদেশ ভোজদেবের পুত্র মহেন্দ্রপালের রাজ্যভুক্ত ছিল[৪]। ইহা হইতে ভিন্সেণ্ট স্মিথ অনুমান করেন যে, সৌরাষ্ট্র দেশ ভোজদেব কর্ত্তৃকই বিজিত হইয়াছিল[৫]। রাষ্ট্রকূটরাজ তৃতীয় গোবিন্দের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ইন্দ্রের প্রপৌত্র