উল্লিখিত হইয়াছেন এবং এইগুলি তাঁহার তৃতীয় রাজ্যাঙ্কে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। পূর্ণদাস নামক সিন্ধুদেশীয় জনৈক বৌদ্ধ-ভিক্ষু এই মূর্ত্তিদ্বয় প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[১]। প্রথম বিগ্রহপালদেব বোধ হয়, অতি অল্পকাল রাজ্য ভোগ করিয়া পরলোকগত হইয়াছিলেন।
প্রথম বিগ্রহপালের পরে হৈহয়বংশীয়া-রাজকুমারী লজ্জাদেবীর গর্ভজাত নারায়ণপালদেব গৌড়-বঙ্গ-মগধের সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন। নারায়ণপাল অর্দ্ধ শতাব্দীর অধিক কাল গৌড়ের সিংহাসনে আসীন ছিলেন এবং তাঁহার সময়েই পালরাজবংশের অধিকার পরহস্তগত হইয়াছিল। নারায়ণপাল, ভোজদেবের অর্দ্ধশতাব্দীব্যাপী রাজত্বকালের শেষার্দ্ধের সময়ে, তাঁহার সমসাময়িক ছিলেন, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ থাকিতে পারে না। গুর্জ্জর-রাজ প্রথম ভোজদেব বারাণসী অধিকার করিয়া মগধ আক্রমণ করিয়াছিলেন। ভোজদেবের সাগরতালে আবিষ্কৃত শিলালিপি হইতে জানিতে পারা যায় যে, ভোজদেব তাঁহার প্রবল শক্র বঙ্গদিগকে তাঁহার কোপ-বহ্নিতে দগ্ধ করিয়াছিলেন[২]। ভাগলপুরে আবিষ্কৃত নারায়ণপালের তাম্রশাসনে কিন্তু এমন কোন কথা নাই, যদ্দ্বারা তৎকর্ত্তৃক গুর্জ্জর-রাজের পরাজয় সূচিত হইতে পারে। সুতরাং এতদ্দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে যে, নারায়ণপালই গুর্জ্জররাজ কর্ত্তৃক পরাজিত হইয়াছিলেন। ভোজদেব যে সমস্ত সামন্ত-রাজগণের সহিত গৌড়-রাজ্য আক্রমণ করিতে আসিয়াছিলেন, তাঁহাদিগের মধ্যে