গ্রামে আবিষ্কৃত তাঁহার তাম্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায় যে, প্রথম গুণাম্ভোধিদেব গৌড়রাজ-লক্ষ্মী হরণ করিয়াছিলেন[১]।
নারায়ণপালদেবের রাজ্যের প্রথমাংশে সমগ্র মগধ তাঁহার অধীন ছিল। কারণ, তাঁহার সপ্তম রাজ্যাঙ্কে ভাণ্ডদেব নামক জনৈক ব্যক্তি গয়া নগরে একটি আশ্রম স্থাপন করিয়াছিলেন। গয়ায় বিষ্ণুপদ-মন্দিরের প্রাঙ্গণে ভাণ্ডদেবের শিলালিপি অদ্যাপি বিদ্যমান আছে[২]। নারায়ণপালের নবম রাজ্যাঙ্কে অন্ধ্রবিষয়ের অধিবাসী ধর্ম্মমিত্র নামক জনৈক ভিক্ষু মগধের কোন স্থানে (সম্ভবতঃ উদ্দণ্ডপুর নগরে) একটি মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[৩]। এই শিলালিপি এখন কলিকাতার চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। নারায়ণপালদেবের সপ্তদশ রাজ্যাঙ্কে তিনি মুদ্গগিরিসমাবাসিত জয়স্কন্ধাবার হইতে তীরভুক্তি (তীরহুত) কক্ষবিষয়ে অবস্থিত মকুতিকা গ্রাম কলশপোতে স্বনির্ম্মিত সহস্র মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত মহাদেবের এবং পাশুপত আচার্য্যপরিষদের ব্যবহারার্থ প্রদান করিয়াছিলেন[৪]। ইহা হইতে প্রমাণ হইতেছে যে, নারায়ণপালের সপ্তদশ রাজ্যাঙ্ক পর্য্যন্ত মুদ্গগিরি বা মুঙ্গের এবং তীরভুক্তি বা তীরহুত তাঁহার অধীন ছিল। অনুমান হয় ইহার পরেই মগধ, তীরভুক্তি ও
- ↑
তৎসূনুর্দ্ধাম ধাম্নাং নিধিরধিকধিয়াং ভোজদেবাপ্তভূমিঃ
প্রত্যাবৃত্যপ্রকারঃ প্রথিতপৃথুযশাঃ শ্রীগুণাম্ভোধিদেবঃ।
যেনোদ্দামৈকদর্পদ্বিপঘটিতঘটাঘাতসংসক্তমুক্তা-
সোপানোদ্দন্তুরাসিপ্রকটপৃথুপতেনাহিতা গৌড়লক্ষ্মীঃ॥ ৯
—Epigraphia Indica, Vol. VII, p. 89.
- ↑ Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, Vol. V, pp. 60-61.
- ↑ Ibid, p. 62; বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা, ১৫শ ভাগ, পৃঃ ১৩।
- ↑ গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৬০-৬১।