অঙ্গ ভোজদেব কর্ত্তৃক বিজিত হইয়াছিল। নারায়ণপালদেবের ৫৪ রাজ্যাঙ্কে উদ্দণ্ডপুরে জনৈক বণিক্ একটি পিত্তলময়ী পার্ব্বতী-মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এই মূর্ত্তিটি শ্রীযুক্ত চিরসুখ সান্যাল মহাশয়ের নিকট ছিল এবং ইহা বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের চিত্রশালায় প্রদত্ত হইয়াছে[১]। কেদারমিশ্র ও তাঁহার পুত্র গুরবমিশ্র নারায়ণপালের মন্ত্রী ছিলেন[২]। ভাগলপুরে আবিষ্কৃত নারায়ণপালের তাম্রশাসনে গুরবমিশ্রই দূতকরূপে উল্লিখিত হইয়াছিলেন। নারায়ণপালের একমাত্র পুত্রের নাম আবিষ্কৃত হইয়াছে[৩]। তাঁহার নাম রাজ্যপাল। নারায়ণপাল সম্ভবতঃ পঞ্চান্ন বৎসর রাজত্ব করিয়া দেহত্যাগ করিয়াছিলেন।
নারায়ণপালের মৃত্যুর পরে তাঁহার পুত্র রাজ্যপাল গৌড়-বঙ্গের সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন। দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত বাণগড়ে আবিষ্কৃত প্রথম মহীপালদেবের তাম্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায় যে, রাজ্যপাল বহু গভীর জলাশয় এবং উচ্চদেবালয় নির্ম্মাণ
- ↑ এই খোদিতলিপি একটি পিত্তলমূর্ত্তির পশ্চাদ্ভাগে উৎকীর্ণ আছে।
“ওঁ দেয় [ধর্ম্মে]য়ং শ্রীনারায়ণপাল দেবরাজ্যে সম্বৎ ৫৪, শ্রীউদণ্ডপু[র]বাস্তব্য রাণক উছপুত্র ঠারুকস্য।”
পরমশ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযুক্ত বসন্তরঞ্জন রায় মহাশয় আমাকে এই মূর্ত্তির চিত্র ও খোদিতলিপি ব্যবহার করিবার অনুমতি দিয়া বাধিত করিয়াছেন। বন্ধুবর শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনারায়ণ ঘোষ এই খোদিতলিপির অধিকাংশের পাঠোদ্ধার করিয়াছেন।
- ↑
কুশলো গুণবান্ বিবেক্তুং বিজিগীষুর্যন্নৃপশ্চ বহুমেনে।
শ্রীনারায়ণপালঃ প্রশস্তিরপরাস্তু কা তস্য॥ ১৯
—গৌড়রাজমালা, পৃঃ ৭৫।
- ↑ গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৯৪।