প্রথম ভোজদেবের পুত্র, মহেন্দ্রপাল, পিতার মৃত্যুর পরে প্রতীহার-বংশের বিশাল সাম্রাজ্যের অধিকার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। মহেন্দ্রপালদেবের রাজ্যকালে তীরভুক্তি ও মগধ পাল-রাজগণের হস্তচ্যুত হইয়া প্রতীহার সাম্রাজ্যভুক্ত হইয়াছিল। এই প্রদেশদ্বয়ে মহেন্দ্রপালদেবের অধিকারসূচক একখানি তাম্রশাসন ও কয়েকখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। মহেন্দ্রপালদেবের অষ্টম রাজ্যাঙ্কে গয়ার নিকটে ফল্গু নদীর অপর পারে রামগয়ায় সহদেব নামক এক ব্যক্তি বিষ্ণুর দশাবতারের একটি প্রস্তর-মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[১]। ৯৫৫ বিক্রমাব্দে (৮৯৮ খৃঃ অঃ) মহেন্দ্রপালদেব শ্রাবস্তিভুক্তির অন্তর্গত শ্রাবস্তিবিষয়ে একখানি গ্রাম জনৈক ব্রাহ্মণকে দান করিয়াছিলেন[২]। গয়া জেলায় গুণেরীয়া গ্রামে মহেন্দ্রপালের নবম রাজ্যাঙ্কে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রস্তরমূর্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে[১]। তাঁহার নবম রাজ্যাঙ্কে প্রতিষ্ঠিত একটি মূর্ত্তির খোদিতলিপির চিত্র হইতে তাহার পাঠোদ্ধার সম্পন্ন হইয়াছে। অপর মূর্ত্তিটি স্বর্গীয় কাপ্তেন কিটো (Kittoe) দর্শন করিয়াছিলেন[৩], কিন্তু ইহার খোদিতলিপির কোন চিত্র বা প্রতিলিপি প্রকাশিত হয় নাই।
- ↑ ১.০ ১.১ Memoirs of the Asiatic Society of Bengal, Vol. V, p. 64. (উইকিসংকলন টীকা: প্রকৃতপক্ষে এই মহেন্দ্রপাল পালবংশীয় এবং দেবপালের পুত্র।)
- ↑ Indian Antiquary, Vol. XV, pp. 306-7.
- ↑ One mentions the fact of the party having apostatized, and again returned to the worship of the Sákya, in the 19th year of the reign of Sri Mahendrapáladeva. Journal of the Asiatic Society of Bengal, Vol. XVII, 1848, p. 234. মগধে আবিষ্কৃত মহেন্দ্রপালের রাজাকালে প্রতিষ্ঠিত দুইটি মূর্ত্তি লণ্ডনের ব্রিটিস মিউজিয়মে রক্ষিত আছে।—Nachrichten von der Koniglichen Gesselschaft der Wissenschaften zu Gottingen, Philologische-historische klasse, 1904, p. 210-11.